প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ৬:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ৬:৪৭ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে অবান্চিত ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুকে। গত মংগলবার রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে ওসিকুর ভুইঞা নামে একজন যুবক সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়ায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দুই ঘন্টার বেশি সময় অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা।
এসময় পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বিএম লিয়াকত আলীর কর্মী সমর্থকরা মহাসড়কে মটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়। তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে লিয়াকত আলীসহ শতশত কর্মী সমর্থক মহাসড়কে বিক্ষোভ করে। আজ সকাল এগারোটার পর থেকেই কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর একটার পর।
বিক্ষোভ সমাবেশে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী লিয়াকত আলী প্রধানমন্ত্রীর এপিএস-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকুকে গোপালগঞ্জে অবান্চিত ঘোষণা করে বলেন, গাজী লিকু দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। গোপালগঞ্জে তিনি এক হাজার বিঘা জমি কিনেছেন, একটি নির্মাণাধীন ২৫ তলা বাড়ীসহ একাধিক হাইরাইজ ভবন রয়েছে তার। তার আত্মীয় যারা সংসার চালাতে পারতোনা তাদের নামে জমি কিনে বাড়ী ও ঘের নির্মাণ করেছেন। তার ঢাকাতেও প্রচুর অবৈধ সম্পদ রয়েছে। অত্র এলাকার মহাসড়ক বা সড়কে তার শতাধিক বিলাসবহুল যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। এসব গাজী লিকুর অবৈধভাবে অর্জিত পয়সায় কেনা। তার বাবার কিছু ছিলোনা। চন্দ্রদিঘলিয়া আমার, গাজী লিকু ও কামরুজ্জামান ভুইঞা লুটুলের গ্রাম। কিন্তু গাজী লিকু সর্বত্র তার প্রভাব খাটিয়ে চলেন। তিনি তার গোষ্ঠীর কয়েক ঘরকে একত্রে রাখতে পারেননা। সদ্য সমাপ্ত সদর উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রথমে আমাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে কামরুজ্জামান ভুইঞা লুটুলকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আমি জননেতা শেখ সেলিম ভাইয়ের পরামর্শে শান্তির জন্য ফলাফল মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু গাজী লিকু শান্তি ভঙ্গ করেছেন। এলাকায় তিনি দেশি-বিদেশি অস্ত্র পাঠিয়ে গোলাগুলি করে মানুষ মারছেন। এসব মেনে নেয়া যায়না। গত বুধবার আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে কথা দিয়েছিলাম যদি খুনিদেরকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আবার অবরোধ করা হবে। আমরা প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করবো। খুনিরা গোপালগঞ্জ ছেড়ে পালিয়েছে। গাজী লিকুর জন্য বদনাম হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাই অবিলম্বে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হোক। এলাকায় আসলে তার পিঠের চামড়া তুলে নেয়া হবে।
মহাসড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।