প্রকাশ: শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪:৫৪ অপরাহ্ন
গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলে সবজির ব্যাপক ফলন হলেও সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। কৃষক ন্যায্যমূল্য না পেলেও মাত্র কয়েক হাত বদলেই সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। অথচ বাজারে ভোক্তারা সবজি ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে।
মূলত লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। এমন অবস্থায় কৃষকরা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায্যমূল্য দাবি করেন। কৃষকদের কাছ থেকে পাইকাররা নামমাত্র মূল্যে সবজি ক্রয় করে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন।
পাইকাররা যেসব সবজি ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে ক্রয় করে তা ঢাকায় বিক্রয় করা হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। মধ্যস্বত্বভোগীর সিন্ডিকেটের কারণে কৃষকরা ঠকছেন।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, সরাসরি মহাজনদের কাছে দরদাম করে সবজি বিক্রয়ের কোনো সুযোগ নেই। শুধু হাত বদল করেই লাভ করছেন পাইকাররা। বাজার থেকে ভোক্তাদের সেই সবজি ক্রয় করতে হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি দামে। গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, গাজর, করলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজিতে ভরে গেছে।
কৃষক মোকছেদুর রহমান বলেন, পাইকাররা তাদের কাছ থেকে প্রতিটি লাউ ক্রয় করে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। আর বাজারে গিয়ে সেই লাউ বিক্রয় হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আমরা অনেক সময় নিজেই উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারের আড়তে নিয়ে যাই। সেখানেও একই অবস্থা। অথচ মধ্যস্বত্বভোগীরা ২০ টাকায় সবজি ক্রয় করে নিয়ে গিয়ে ৫০ টাকায় বিক্রয় করছেন।
গাইবান্ধার উৎপাদিত সবজি প্রতিদিন ট্রাকযোগে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নানা অজুহাতে পাইকারদের কারসাজিতে কৃষকরা সবজির আশানুরূপ দাম পাচ্ছে না।