প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:৪৬ অপরাহ্ন
ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল হোসেন মিয়া নির্বাচনের দুদিন পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ভোটের ফলাফল প্রত্যাখান করে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
জামাল হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনে আমাকে জোর করে হারানো হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকার ১১৫টি কেন্দ্রের কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট প্রকাশ্যে নৌকার সমর্থকরা কেটে নেয়। অধিকাংশ প্রিসাইডিং অফিসার ২০০–৩০০ ভোট কেটে নৌকার সিল মেরে ব্যালট আগেই রেখে দিয়েছিলেন এবং আমার ঈগলের ভোটের ওপর নৌকা লিখে বান্ডিল করেছেন।’
ঈগল প্রতীকের এই প্রার্থীর দাবি, আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার ভোট বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কোনো কাজ হয় নাই। প্রায় ২০টি কেন্দ্র থেকে আমার পুলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। আমার ঈগলের অনেক ভোট নষ্ট দেখানো হয়েছে। আমাকে জোরপূর্বক ১ হাজার ৯০০ ভোটে পরাজয় দেখানো হয়েছে।
জামাল হোসেন আরও বলেন, ‘নির্বাচনের একদিন যেতে না যেতেই নগরকান্দা ও সালথায় আমার সমর্থকদের প্রায় ২০০ বাড়ি ঘর, দোকানপাট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমার নেতাকর্মীর ওপর নির্মম নির্যাতন হামলা চালানো হচ্ছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী ৮৬ হাজার ৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ঈগল প্রতীকে পান ৮৪ হাজার ১১৪ ভোট। নৌকার প্রার্থী ১ হাজার ৯৮১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন।