প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:২৫ অপরাহ্ন
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে ১৮ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিয়াউদ্দিন বিস্বাসের আনন্দবাস গ্রামের বাড়ির সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ও গুরুতর আহতদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন আকাশ মিয়া (২৫), টুকু বিশ্বাস (৪০) অপু বিশ্বাস (৩৩), অন্তর মল্লিক (১৬), আব্দুল হালিম (৩২) আশরাফুল ইসলাম (৪৫), ফেরদৌস আলী মেনতা (৫৫) আয়াত আলী (৪৫) ফজলুল হক (৫৯), নাহিদুল ইসলাম (৩৫)পিয়াস মিয়া (২৫) আলী ইয়াসিন (৫০) আশিক (২৪) রানা হামিদ (২১) শফিকুল মিয়া, আজিজুল (৩২) পথচারী শহিদুল (৩৭)।
স্থানীয়রা জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দবাস গ্রামের তার কর্মী সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। ওই স্থান থেকে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে এলাকার মানুষ। এসময় জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের একজন কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারে মিছিলে অংশ নেওয়া কয়েকজন।
পরে তারা আরও জোরে শব্দ করে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস বাড়ি থেকে বের হয়ে তাদেরকে তার কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারার কারণ জানতে চাই। এসময় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১৮ জন কর্মী সমর্থকেরা আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। বর্তমানে পরিস্থিত শান্ত রয়েছে।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক তবে অভিযোগ পেলে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।