মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

কোভিড কর্মসূচির ঋণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ৩ বাড়ি কেনার অভিযোগ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে    হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত : লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩১     আইপিএলে দল পাননি ইতিহাসের সেরা অনেক তারকা ক্রিকেটার    ইসকন নেতাকে গ্রেফতরের প্রতিবাদে সীমান্ত অবরোধের হুমকি বিজেপির     সংকটে থাকা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য ‘বিকল্প তহবিল’ আসছে    সংবিধানে সংস্কারে বিএনপির ৬২ প্রস্তাব, বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার    বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের মানুষ আপসের নেত্রীর খেতাব দিয়েছে, কিন্তু কেন   
শেরপুরের কাঠের আসবাবপত্রের চাহিদা বাড়ছে দেশজুড়ে
শেরপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশ: সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪, ২:১০ অপরাহ্ন

শেরপুরের তৈরি কাঠের আসবাবপত্রের চাহিদা বাড়ছে দেশজুড়ে। ভালোমানের কাঠ আর দক্ষ শ্রমিক থাকায় ফার্নিচার শিল্পে নব দিগন্তের সূচনা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ি উপজেলা ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীতে প্রচুর কাঠ মেলে। তাই তাদের কাঠ পেতে কোন অসুবিধা না হওয়ায় তারা এ ব্যবসায় ভাল লাভবান হচ্ছেন। 

তাদের তৈরি বাহারি কারুকাজ খচিত ফার্নিচার সরবরাহ হচ্ছে দেশের ২৫ থেকে ৩০ জেলায়। প্রতি মাসে লেনদেন হচ্ছে কমপক্ষে ১২ কোটি টাকা। এ শিল্পকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান। সকাল থেকে কর্ম চাঞ্চল্যতা বাড়তে থাকে ফার্নিচার তৈরির কারখানাগুলোতে। কেউ করাত, কেউ হাতুড়ি, কেউ বাটালি, আবার কেউ সিরিজ কাগজ দিয়ে প্রস্তত করে বিভিন্ন নকশার আসবাবপত্র। 

গারো পাহাড়ি ৩ উপজেলা ছাড়াও শেরপুর সদর উপজেলার শেরীপাড়া, পূর্বশেরী, পশ্চিম শেরী, অষ্টমীতলা, মধ্য বয়রা, বয়রা, বয়রা পরানপুর ও কুসুমহাটি এলাকা, ছাড়াা উপজেলার বাজারগুলোতে চোখে পড়ার মতো রয়েছে ফার্নিচারের দোকান। 

কাঠের বাহারি কারুকাজ খচিত বক্স খাট, ওয়ারড্রপ, সোফাসেট, ডাইনিং টেবিল, কেবিনেট ও ড্রেসিং টেবিল সহ বিভিন্ন ফার্নিচারের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে এসব এলাকায় তিন শতের অধিক কারখানায় তৈরি হচ্ছে এসব আসবাবপত্র। মালিকরা বলছেন,আমাদের অনেক দক্ষ কারিগর আছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকায় ব্যবসা বড় করতে পারছি না। কাঠ সহ অন্যান্য কাঁচামালের দাম বাড়ার পর পাইকারি বিক্রির দর বাড়েনি। আবার বেশ কিছু ব্যবসায়ী ব্যংকঋণ নিয়ে পরিষোধ করতে পারছে না। 

শেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর নাছিরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সম্ভবানময় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের প্রয়োজনীয় পৃষ্টপোষকতা ও তাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার। বর্তমানে যে পরিমাণ আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে, এটা ধরে রাখতে পারলে এলাকাটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠবে। 

শেরপুর বিসিক শিল্প নগরী কর্মকর্তা বলেন, অদক্ষ শ্রমিকদের প্রয়োজনে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। ফার্নিচার শিল্পকে আরও গতিশীল করতে ব্যবসায়ীদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft