গাজীপুরের টঙ্গীতে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মারামারির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার হাজী নগর [মাজার বস্তি] এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে দুইটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।
এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আলীম উদ্দিন বুদ্দিনের পক্ষে ৫৭ নং ওয়ার্ড কেন্দ্র কমিটির আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর মো, নজরুল ইসলাম, সচিব আজাহার বেপারী, প্যানেল মেয়র রাখি সরকার, কাজী সোহেল, টুটুল সরকারের নেতৃত্বে কমিটির নেতৃবৃন্দ নৌকার সমর্কথদের পোষ্টার ব্যাণার ফ্যাষ্টুন লাগানো এবং লিফলেট বিতরনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, হামলা মারধর ও হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন করেছেন।
সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়, শুক্রবার জুমার জামাজের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণার লিফলেট বিলি করছিলো। এ সময় হাজী নগর এলাকার বাসিন্দার ও বেশ কয়েকজন নৌকার সমর্থক মিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক বোরহান উদ্দিন ও নুরে আলমের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় তাদের মারধর করে। এ সময় বোরহান উদ্দিন ও নুুরে আলম গুরতর আহত হয়। তাদের দুইজনকে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্বপন বলেন, টঙ্গী বাজারে নৌকা প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলে সেখানে ট্রাক মার্কার পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে আমাদের দু-তিনজন ছেলের সাথে ট্রাক মার্কার দু-তিনজন ছেলের সাথে তর্কবির্তকের সৃষ্টি হয়। এরপর হঠাৎ ট্রাক মার্কার লোকজন সংঘবদ্ধ ভাবে এসে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমিসহ দুই তিনজন আহত হয়েছি। এঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
আহত বোরহান উদ্দিন বলেন, আমরা ট্রাকের লিপলেট বিলি করতেছি। এ সময় কয়েকজন এসে আমাকে ও নুরে আলমকে লিফলেট বিতরে বাধা দেয়। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের মারধর করে আহত করে। তারা নুরে আলমের হাত ভেঙ্গে দেয়। এঘটনায় থানায়
জিডি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশিচম থানা অফিসার্স ইনচার্জ [ওসি] মো, সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় দুইটি জিডি নেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচন কমিটির আহবায়ক শেখ মো, নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জুমার নামাজের পর হাজী মাজার বস্তি এলাকায় ট্রাক প্রতীকের কর্মী সমর্থক লিফলেট বিলি করতে যায়। পওে নৌকার সমর্থকরা তাদের উপর হামলা করে। বোরহান ও নুরে আলমকে মারধর করে আহত করে। মহিলা সমর্থকদেরও হুমকি ও ভয়রভীতি দেখায়।
ট্রাক প্রতীকের সমর্থক মনোয়ারা বেগম বলেন, লিফলেট বিলি করার সময় নৌকার লোকজন আমাকে বলেন, তুুমি ট্রাকের প্রচারণা করতে পারবে না। নৌকার প্রচারণা করলে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। না হয় প্রচারণা করতে করতে দেওয়া হবে না।
স্থানীয় লোকজন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের মধ্যে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। নিজেরা নিজেরা মারামারিতে মেতে উঠেছে । দলের মধ্যে ভাঙ্গন আর সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে শৃংখলা ভঙ্গ হচ্ছে। এটা দলের জন্য ভালো লক্ষন নয়। আমরা সকলেই এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে চাই।