বরিশালের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে পদ্মা সেতু। ২০২২ সালে স্বপ্নেই এই সেতুর চালু হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম বরিশাল সফর। নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে বরিশালের উদ্দেশে আজ শুক্রবার সকালে সড়কপথে রওনা হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের প্রচার প্রচারণার অংশ হিসেবে বেলা তিনটায় বরিশাল নগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভায় তার ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতির সফর ঘিরে জনসভাস্থলসহ পুরো নগর ও মহাসড়ক জুড়েই তৈরি হয়েছে আগমনী আমেজ, সেই সাথে বিশেষ নিরাপত্তাও জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নির্বাচনী আমেজে ব্যানার ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো বরিশাল শহর। শেখ হাসিনাকে বরণ করতে মুখিয়ে আছেন বরিশালবাসী। শুধু বঙ্গবন্ধু উদ্যান নয়, পুরো সিটি করপোরেশন সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
বরিশালের সমাবেশেও লাখো মানুষের ঢল নামবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলীয় নেতা ও স্থানীয়রা। জনসভাটি বরিশালের ইতিহাসে বৃহত্তম সমাবেশ হবে বলেও তারা জানান।
পদ্মা সেতু ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে পায়রায় সমুদ্র বন্দর ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনসহ নানা উন্নয়নের কথাও সমাবেশে তুলে ধরা হবে।
২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারে ক্ষমতায় আসার পর গত ১৫ বছরে পদ্মা সেতু, পায়রা সেতু, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল সেতুসহ সড়ক যোগাযোগে বরিশাল বিভাগে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
পায়রা বন্দর, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বরিশাল বিভাগ এখন বিনিয়োগ আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠছে।
এছাড়াও ছোট-বড় অসংখ্য অবকাঠামো নির্মিত হওয়ায় জীবনমান উন্নত হয়েছে বরিশালবাসীর। বরিশাল বিভাগের সঙ্গে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি তার বক্তৃতায় নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি, দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান তুলে ধরবেন বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এক সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।