প্রকাশ: সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৮:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৮:১৬ অপরাহ্ন
মানিকগঞ্জে বিএনপির ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের ডাকের লিফলেট নেওয়া এবং নেতাকর্মীরা তা ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ব্যবসায়ী মশিউর রহমানকে আটক করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরে ডলি প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই ব্যবসায়ীকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের জেলা বিএনপির কার্যালয়ের অদূরে শহীদ রফিক সড়কের পাশে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডলি প্লাজা নামের একটি বিপণিবিতানের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী মশিউর রহমান ওরফে সুমনকে লিফলেট দেন নেতাকর্মীরা। লিফলেট বিতরণের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন নেতাকর্মীরা। পরে এ বিষয়টি জেলা পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে।
এরপর দুপুর সোয়া একটার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেনসহ ছয়-সাত পুলিশ সদস্য ডলি প্লাজা বিপণিবিতানে গিয়ে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসায়ী মশিউর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এদিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর দেড়টার দিকে দোকান বন্ধ করেন তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা। এরপর তারা সদর থানায় যান। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি মানিকগঞ্জ তৈরি পোশাক দোকান মালিক সমিতির সভাপতি খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পোশাক ব্যবসায়ী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের দেওয়া লিফলেট নেওয়া এবং নেতাকর্মীরা তা ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ব্যবসায়ী মশিউর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ভুক্তভোগী পোশাক ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বলেন, ‘আকস্মিকভাবে বিএনপির কয়েকজন কর্মী এসে ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন। আমাকেও একটি লিফলেট দেওয়ার সময় মোবাইলে তা ভিডিও করেন। পরে পুলিশ এসে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আমাকে ছেড়ে দেয়।
ওসি মো. হাবিল হোসেন বলেন, একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ব্যবসায়ীকে থানা নেওয়া হয়েছিল। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীদের লিফলেট নেওয়া তাকে আটক করা হয়েছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি হাবিল হোসনে বলেন, না লিফলেটের বিষয়ে নয়, অন্য একটি বিষয়ে তাকে থানায় নেওয়া হয়েছিল।