বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ৮ কার্তিক ১৪৩১
 

‘নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে’    গৃহকর্মী হত্যার অভিযোগে বনশ্রীতে বাড়িতে আগুন    ২০২৩ সালে দেশে এইডসে ২৬৬ জনের মৃত্যু     নিউজিল্যান্ডে আরেকটি ঐতিহাসিক জয় টাগইগারদের     নির্বাচন বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের    হবিগঞ্জের ডিসি ও তিন ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির    ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়: ডিএমপি কমিশনার   
'জনগণের আস্থা থাকলে প্রতিকূল পরিবেশেও নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব'
প্রকাশ: শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:৪১ অপরাহ্ন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অনুকূল-প্রতিকূল পরিবেশের ওপর নয়, জনগণের আস্থা-সমর্থন থাকলে জনরায়ের মাধ্যমে চরম প্রতিকূল পরিবেশেও নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব।

শনিবার নগর ভবনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত 'আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র তাপস বলেন, আজকে যারা বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের একটু স্মরণ করিয়ে দিই। তারা বলেন- নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই, সেজন্য তারা নির্বাচনে আসবে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৯৫৪ সালে প্রথম যে নির্বাচন, আওয়ামী লীগ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে। সে সময় মুসলিম লীগ ছিল সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠন। প্রতিকূল পরিবেশে সেদিন নৌকা প্রতীক নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।

এরপর ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য সকল রাজনৈতিক সংগঠন বলেছিল, নির্বাচনে যাওয়া মানে আত্মহত্যার শামিল। এমনও স্লোগান উঠেছিল, ভোটের বাক্সে লাথি মারো বাংলাদেশ স্বাধীন করো। সে বারও নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ ছিল না। সবকিছুই ছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর অধীনস্থ। প্রশাসন ছিল পাকিস্তানের বলেও উল্লেখ করেন মেয়র তাপস।

তিনি বলেন, সবকিছুই যখন পাকিস্তানি প্রশাসনের অধীন তখনও বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে যাব। সেই প্রতিকূল পরিবেশেও আওয়ামী লীগ ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। বঙ্গবন্ধু জনগণের সেই রায় নিয়ে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে গেছেন। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনও আওয়ামী লীগের জন্য অনুকূল পরিবেশ ছিল না। রাষ্ট্রপতি ছিলেন ইয়াজউদ্দিন আহমেদ, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন ফখরুদ্দিন আহমেদ আর সেনাপ্রধান ছিলেন মঈন ইউ আহমেদ। তারা সবাই বিএনপি কর্তৃক নিযুক্ত। পুরো প্রশাসন ছিল বিএনপি-জামায়াতের পক্ষে। কিন্তু শেখ হাসিনা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে চরম প্রতিকূল পরিবেশে দিন বদলের সনদ ঘোষণা করেন এবং আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। সেই সত্তরের মতোই আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৩৩টি আসন নিয়ে এককভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। সুতরাং নির্বাচন কোনো অনুকূল পরিবেশ, প্রতিকূল পরিবেশের ওপর নির্ভর করে না। যদি জনগণের ওপর আস্থা থাকে, জনগণের সমর্থন থাকে তাহলে চরম প্রতিকূল পরিবেশেও নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft