প্রকাশ: সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:১০ অপরাহ্ন
মারা গেছেন বিখ্যাত বাদ্যযন্ত্র শিল্পী থাংগা ডারলং। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের শেষ ব্যক্তি তিনি, যিনি বাঁশের তৈরি বাঁশির মতো দেশীয় বাদ্যযন্ত্র রোসেম বাজাতেন। রবিবার বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে উনাকোটি জেলার কৈলাসাহারে নিজ বাসভবনে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।
হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, গত ১৫ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। ডারলং ছিলেন ওই রাজ্যের শেষ ব্যক্তি যিনি বাঁশের তৈরি বাঁশির মতো দেশীয় বাদ্যযন্ত্র রোসেম বাজাতেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা থাংগা ডারলংয়ের মৃত্যুতে সামাজিক মাধ্যমে এক্সে (টুইটার) শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘রোসেম বাদক কিংবদন্তি থাংগা ডারলং জি-এর মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর প্রয়াণে রাজ্যের সাংস্কৃতিক জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। সকল শোকাহতদের প্রতি আমার সমবেদনা। ঈশ্বর সকল প্রিয়জনকে এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দান করুন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
১৯২০ সালের ২০ জুলাই ত্রিপুরার মুরুয়াই গ্রামে জন্মগ্রহণ করে এই সুরের জাদুকর। প্রাথমিকভাবে, ডারলং তার বাবা হাকভুঙ্গা ডারলং-এর কাছ থেকে লোকসংগীতের প্রশিক্ষণ নেন এবং পরে সংগীত গুরু দারথুয়ামা ডারলং-এর নির্দেশনায় রোসেম বাজানো শিখেছিলেন। শৈশবকাল থেকেই থাংগা দারলং তার সম্প্রদায়ের অসংখ্য ঐতিহ্যবাহী উৎসবে পারফর্ম করেছেন এবং রোসেম বাজানোর জন্য আদিবাসীদের প্রশিক্ষন দিয়েছেন।
তিনি ভারতের পাশাপাশি জাপান ও বিদেশের অনেক জায়গায় ভ্রমণ করেছিলেন এবং রোসেম বাজিয়ে মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের। উত্তর-পূর্বে দেশীয় সংগীত সংরক্ষণে অবদানের জন্য ২০১৪ সালে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন থাংগা ডারলং। ২০১৯ সালে ‘সেন্টেনারিয়ান’ বিভাগে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন থাংগা ডারলং।