প্রকাশ: শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৪৬ অপরাহ্ন
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় হাফসা আক্তার পুতুল নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন পুতুল।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুর রহমান জানান, ২০ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন একটি মামলা করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ।
পরে ২৬ নভেম্বর শ্যামপুর থানার গ্লাস ফ্যাক্টরির গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাফসা আক্তার পুতুলকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে ককটেল হামলায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ঘটনার দিন ব্যবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগ জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর পুতুলকে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুতুল জানায়, ২০ নভেম্বর অন্য একটি মামলায় দেবর আ. রহমানকে কোর্টে আনার তথ্য পেয়ে পুতুল তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া ও ছোট মেয়েসহ মোটারসাইকেলে বাসা থেকে কোর্টের উদ্দেশে রওনা দেয়। তারা প্রথমে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাদের মোটরসাইকেলটি পার্ক করে।
শাহীনুর রহমান বলেন, সেখানে আব্দুল হামিদ স্ত্রী পুতুলের ভ্যানিটি ব্যাগে একটি ককটেল রাখাতে দেয়। পরে তারা আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের চতুর্থ তলায় ওঠে। আব্দুল হামিদ ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ককটেলটি বের করে আদালত প্রাঙ্গণে ছুড়ে মারে। ককটেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় পুতুল। পলাতক অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ ওয়ারী থানা যুবদলের সদস্য। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।