গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১ মাসে ২২৩টি অগ্নিসংযোগের তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের পাঁচ জেলায় ৫টি আগ্নিসংযোগের তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সোম থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্বৃত্তরা পাঁচটি যানবাহনে আগুন দিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ১টি, হবিগঞ্জে ১টি, পাবনায় ১টি, টাঙ্গাইলে ১টি ও খুলনায় ১টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১টি ট্রেনের বগি, ৩টি বাস ও ১টি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই আগুন নির্বাপণ করতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১০টি ইউনিট ও ৫০ জন জনবল কাজ করে।
পাঁচ ঘটনার মধ্যে ২৭ নভেম্বর সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে হবিগঞ্জের ধুলিয়াখাল রোডে ১টি ট্রাকে আগুন, বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার শ্যামলি, সড়ক ও জনপথে ‘বৈশাখী পরিবহন’-এর ১টি বাসে আগুন, রাত সাড়ে ৮টায় পাবনার ঈশ্বরদী রেল জংশনে ‘ঢাকা কমিউটার ট্রেন’-এর বগিতে আগুন, রাত ১১টা ১০ মিনিটে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ১টি বসে আগুন, রাত সাড়ে ১১টায় খুলনার সোনাডাঙ্গা সদরে ‘কাতার’ পরিবহনের ১টি বাসে আগুন দেওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৮ নভেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত ১ মাস সময়ে ২২৩টি অগ্নিসংযোগের সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে কয়েকটি স্থাপনা থাকলেও অধিকাংশ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে যানবাহনে।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, গেল ১ মাসে ২১২টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে ১৩২টি বাসে, ৩৫টি ট্রাকে, ১৬টি কাভার্ড ভ্যানে, ৮টি মোটরসাইকেলে, ২টি প্রাইভেট কারে; ৩টি করে মাইক্রোবাস, পিকআপ, সিএনজি, ট্রেন ও লেগুনায় এবং ১টি করে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের গাড়ি, নছিমন ও অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় কিছু ১১টি স্থাপনায়ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ অফিস, বিএনপি অফিস, পুলিশ বক্স, কাউন্সিলর অফিস, বিদ্যুৎ অফিস, বাস কাউন্টার ও শোরুম রয়েছে।