ডিসি-ইউএনওদের জন্য নতুন গাড়ি কেনাকে সরকারের নির্বাচনী ঘুষ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কৃষিবিষয়ক এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, দেশের অবস্থাটা এমন হয়েছে, সাধারণ মানুষ ডিম কিনতে পারছে না, লাউ কিনতে পারছে না, শাকসবজি কিনতে পারছে না। কিন্তু নির্বাচনে ঘুষ দেওয়ার জন্য ডিসি-ইউএনওদের জন্য ৩৬৫ কোটি টাকার নতুন গাড়ি কেনা হচ্ছে। তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে আলাদা করে।
তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে ইতোমধ্যে ডিসি-এসপিদের যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাদের কাছে টাকা পৌঁছে গেছে। গত ১৫ বছরে ওরা যে লুট করেছে, দুর্নীতি করেছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। প্রতিটি পয়সা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে আমাদের পকেট থেকে নিয়েছে, ভ্যাট-ইনকাম ট্যাক্স মিলে নিয়েছে। যে ঋণ করেছে সেই ঋণের ভার আমাদের ঘাড়ে এসে পড়বে। এর বিকল্প একটাই। এই সরকারকে সরাতে হবে। এটা আমার আপনার জন্য নয়, দেশকে বাঁচানোর জন্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনোকিছু ঠিক নেই। তারাও বলছে, যদি পরিবেশ অনুকূল হয়, তার মানে পরিবেশ অনুকূল নয়। এখনো পরিবেশ অনকূল হয়নি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এখন কিন্তু মাসও নেই, কয়েকটা দিন আছে, আন্দোলন সফলে সেই দিনগুলোকে বুকের মধ্যে সাহস নিয়ে সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। এই ১৫ বছরে আমাদের হাজার হাজার লোককে মেরে ফেলেছে। আমাদের লোককে গুম করেছে। আমাদের ৫০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। গতকালও (বুধবার) ঢাকা মহানগরীতে ৭৭ জনকে অ্যারেস্ট করেছে। কোনো কথা নাই, নামটা ঢুকিয়ে দিলে হয়ে গেল। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
আন্দোলনের সফলতার বিষয়ে আশার কথা শুনিয়ে তিনি বলেন, ‘কথা একটাই- আসুন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামি। আজকে একটা বিষয় আপনাদের আশা জোগাবে, সাহস জোগাবে যে- দেশের সব মানুষ এক হয়েছে, সব রাজনৈতিক দলগুলো এক হয়েছে। বাম-ডান সবাই কিন্তু একটা কথা বলছে, এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। শেষবারের মতো বলতে চাই, দয়া করে পদত্যাগ করুন, শান্তিতে আপনারা একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে চলে যান, দেশে মানুষকে বাঁচতে দেন।’
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী দল সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালি দল’-এর উদ্যোগে ‘কৃষি উপকরণ ও খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি-কৃষক এবং নাভিশ্বাস’ শীর্ষক এই সেমিনার হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি।