প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ৫:১১ অপরাহ্ন
ভাঙন আতঙ্কে ব্রহ্মপুত্র তীরের বাসিন্দাগণ! পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের অব্যাহত ভাঙনে দিশাহারা নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকার নদী তীরবর্তী মানুষ। একের পর এক বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, আবাদি জমি, মসজিদ, কবরস্থান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
চলতি বছরও ৪র্থ বার ভাঙনে ক্ষতির সম্মুখীন হয় কয়েকটি পরিবার। ভাঙনে বিলীন প্রায় দেড়শ’ একর আবাদি জমি ও ৫০টি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। গত ১৫ বছরে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছে শত শত পরিবার।
নকলা উপজেলার কবুতর মাড়ী গ্রামের আলহাজ, জাকির হোসেন ( চঞ্চল হাজী ), দক্ষিণ নারায়ণখোলা গ্রামের সিরাজ মিয়া ও জহুরুল হক ভাঙন এলাকা দেখিয়ে কেঁদে কেঁদে জহুরূল হক বলেন, এখানেই আমার বাবার কবর ছিল। বাবার ইচ্ছায় বসতভিটেতেই কবর দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই কবরটিও নদী গিলে খেয়েছে।
নকলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদার দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, নদীর ভাঙনে অনেকের বাপ দাদার জমি বসত ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীও বিষয়টি অবগত আছেন। আশা করছি দ্রুত স্থায়ী সমাধান হয়ে যাবে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, নকলা উপজেলার নারায়ণখোলা এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙন মোকাবিলায় এ বছর দু’টি দরপত্রে ৮৫ লাখ টাকার ৩৩০ মিটার জরুরি আপদকালীন কাজের অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।