প্রকাশ: শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩, ৬:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩, ৬:১৭ অপরাহ্ন
প্রতাব নগর গ্রামের কৃষক ডা: আব্দুল বারী বলেন, কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পালাক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে মানব সভ্যতার সোনালী অতীত-ঐতিহ্য।
তাই আজ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বাহী কাঠের লাঙ্গলে হাল চাষ ও হারিয়েই যাচ্ছে। সাড়ি কালিনগর গ্রামের আলহাজ, শরীফ উদ্দিন সরকার বলেন, দেশের উত্তর জনপদের সবজির ভান্ডার হিসেবে খ্যাত সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলায় লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এখন যেন শুধুই স্মৃতি।
শালচুড়া গ্রামের কৃষক আলহাজ, সরোয়ার্দী ( দুদু হাজী ) বলেন, এক সময় সেই কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু ও কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে যেত মাঠের জমিতে হালচাষ করার জন্য।
বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে শেরপুরের কৃষকদের জীবনে ও এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে।
তাই আর সাত সকালে কাক ডাকা ভোরে কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতে খুব একটা দেখা যায় না কৃষকদের। শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের খামারবাড়ির উপপরিচালক ( উদ্ভিদ সংরক্ষণ ) কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির দৈনিক জবাবদিহিকে বলেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশের শেরপুর জেলার হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লাঙল, জোয়াল।
এখন অর সে দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়েনা। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাল চাষের পরিবর্তে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হয়।
এক সময় দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার মত শেরপুর জেলায় ও বাণিজ্যিকভাবে কৃষক গরু, মহিষ পালন করত হাল চাষ করার জন্য। আবার অনেকে গবাদিপশু দিয়ে হাল চাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে ছিলেন।
আবার অনেকে, ধান গম, ভুট্টা, তিল, সরিষা, কলাই, আলু প্রভৃতি চাষের জন্য ব্যবহার করতেন। নিজের সামান্য জমির পাশাপাশি অন্যের জমিতে হাল চাষ করে তাদের সংসারের ব্যয়ভার বহন করত।
হালের গরু দিয়ে দরিদ্র মানুষ জমি চাষ করে ফিরে পেত তাদের পরিবারের সচ্ছলতা। আগে দেখা যেত কাকডাকা ভোরে কৃষক গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল নিয়ে মাঠে বেড়িয়ে পড়ত।
’ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও ) মো: ফারুক আল মাসুদ দৈনিক জবাবদিহিক বলেন, এখন আর গ্রামীণ জনপদে খুব একটা চোখে পড়ে না লাঙ্গলে ক্ষেত চষের সেই দৃশ্য।
জমি চাষের প্রয়োজন হলেই অল্প সময়ের মধ্যেই পাওয়ার টিলারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে চালাচ্ছে জমি চাষাবাদ দ্রুত সময়ে চাষাবাদের দিকেই ঝুকে পড়ছে বলে মনে হয়। সেই সুযোগে কৃষকরা হাল চাষের পেশা বদল করে অন্য কাজে ঝুঁকছেন।’