গতকাল শনিবার ভোরে ধসে পড়া সড়কে চলাচলকারী ১৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পড়েছে বিপাকে।
জানা যায়, গৌরীপুর-আসমানিয়া সড়কটি গোমতী নদীর পাড় ঘেঁষা হওয়ায় দুই বছর আগেও একই স্থানে ধসে পড়েছিল। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ ওই সময় সড়কটি মেরামত ও নদীভাঙন বা ধস থেকে রক্ষা করতে গাইড ওয়াল নির্মাণ করেন।
সড়কে চলাচলকারী ইব্রাহিম ও মাসুম জানান, সড়কটি নদীর পাড়ে হওয়ায় প্রতি বছরই বর্ষা শেষে ফাটল দেখা দেয়।
আর যেহেতু সড়কটির এক পাশে নদী অন্য পাশে ডোবা ও বাড়ি রয়েছে, তাই নদীর পানি কমতে শুরু করলে ডোবা থেকে নদীতে পানি চুইয়ে পড়ে। যে স্থান দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ে সেখানেই সড়কটি ধসে পড়ে।
এতে দাউদকান্দি উপজেলার চারপাড়া, চান্দেরচর, গলিয়ারচর, দক্ষিণ নারান্দিয়া, তিতাস উপজেলার আসমানিয়া, খলিলাবাদ, উত্তর নারান্দিয়াসহ মুরাদনগরের কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১৫ গ্রামের প্রায় বিশ হাজার বাসিন্দা দুর্ভোগে পড়েছেন।
এসব গ্রামের উৎপাদিত নানা কৃষিজ পণ্যদ্রব্য পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটছে। আর প্রতি বছরই এ সড়কে চলাচলকারীদের এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
গৌরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোমান সরকার বলেন, সড়কটি ধসে যাওয়ায় কোনো যানবাহন এবং হেঁটে চলাচল করতে পারছে না। এ পথে চলাচলকারীদের ভোগান্তি বেড়েছে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। মানুষ যাতে হেঁটে চলাচল করতে পারে, সেজন্য আপাতত ধসে যাওয়া অংশে বালু দিয়ে মেরামতের প্রস্তুতি চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, ধসে যাওয়া সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে দ্রুত মেরামতের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে।