প্রকাশ: শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২, ৯:৩৫ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার সরিষাদাইর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূ প্রিয়াংকা কর্মকারের (২৮) বাবা জয়কৃষ্ণ সরকার শনিবার মির্জাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার বাড়ি এ উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের সেওড়াতৈল গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ বছর আগে তার মেয়ে প্রিয়াংকার সাথে পৌর এলাকার সরিষাদাইর গ্রামের সুধীর কর্মকারের ছেলে বুদ্ধু কর্মকারের (৩৬) সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে তার স্বামী যৌতুকের দাবিতে মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই স্থানীয়ভাবে সালিশও হয়েছে।
বিদেশ যাওয়ার জন্য সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর তার মেয়েকে বাবার কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয়। এতে তার মেয়ে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাকে মারপিট করে আহত করে।
ঘটনাটি মেয়ে মোবাইলের মাধ্যমে তাকে রাতে জানালে সকালে স্ত্রী পুষ্পরানী মেয়ের বাড়িতে যান। এ সময় জামাইয়ের কাছে তার মেয়েকে মারপিটের কারণ জানতে চাইলে জামাই বুদ্ধু কর্মকার ক্ষিপ্ত হয়ে শ্বাশুড়ি পুষ্পরানীকেও মারতে চায়।
এক পর্যায়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সন্ধ্যায় মেয়ের জামাই বাড়ির প্রতিবেশীরা তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানায় যে তার মেয়ে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে মেয়ের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন।
প্রিয়াংকার স্বামী বুদ্ধু কর্মকার যৌতুকের দাবিতে তার মেয়ের ওপর মাঝেমধ্যেই শারীরিক নির্যাতন চালাত এ ব্যাপারে প্রিয়াংকার স্বামীর বিরুদ্ধে নিজেই ১৬ ফেব্রুয়ারি মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন বলে প্রিয়াংকার বাবা জানান।
মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালে মাসুদ করিম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।