এস. কে সাত্তার, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২২, ৪:৩৫ অপরাহ্ন
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ে হাতির পর বাঘ আতংকে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্য্ কয়েক গ্রামের গত ১২-১৪ দিনে বাঘের আক্রমণে ১০-১৫টি ছাগল মারা গেছে।
এতে গারো পাহাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গারো পাহাড়ে গবাদিপশু চড়াতেও ভয় পাচ্ছে স্থানীয় লোকজন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মানুষ এ হিংস্র বাঘের আক্রমণের শিকার হয়নি।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উদ্যোগে মাইকিং করে সচেতনতামূলক প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া,নয়াপাড়া, গান্ধিগাঁও, হালচাটি, ছোটগজনী এলাকায় গত ১২-১৪ দিনে বন্য প্রাণীর হামলায় ১০-১৫টি ছাগল মারা গেছে।
এতে জনমণে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মানুষ গবাদিপশু চরাতে ও লাকড়ী সংগ্েরহ ও পাহাড়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। গান্ধিগাঁও গ্রামের শাহা আলী বলেন, গারো পাহাড়ে আগে ছিল বন্য হাতির আতঙ্ক। এখন দেখা দিয়েছে বাঘ আতংক!। ৫/৭ দিন আগে এক ব্যক্তি রাতে বাঘের মতো প্রাণী দেখেছেন। ফলে এলাকাবাসীর মনে বাঘ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মানুষ ও বন্য প্রাণী (হাতি ও বাঘ) দ্বন্দ্ব নিরসন ও ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইগাতীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ফারুক আল মাসুদ।
বক্তব্য রাখেন বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট অফিসার মকরুল ইসলাম আকন্দ, কাংশা ইউপির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান প্রমুখ। ইউএনও মো: ফারুক আল মাসুদ বলেন, পাহাড়ে একটি অজানা বন্য প্রাণীর দেখা মিলেছে বলে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জেনেছেন।
বন্য প্রাণীটি মানুষের যেন ক্ষতি করতে না পারে। আবার প্রাণীকেও মানুষ যেন হত্যা করতে না পারে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।