মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

‘নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে’    গৃহকর্মী হত্যার অভিযোগে বনশ্রীতে বাড়িতে আগুন    ২০২৩ সালে দেশে এইডসে ২৬৬ জনের মৃত্যু     নিউজিল্যান্ডে আরেকটি ঐতিহাসিক জয় টাগইগারদের     নির্বাচন বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের    হবিগঞ্জের ডিসি ও তিন ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির    ভোট ঠেকানো গণতান্ত্রিক অধিকার নয়: ডিএমপি কমিশনার   
আওয়ামী লীগ যতক্ষণ ক্ষমতায় আছে, সবই পারব: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: রোববার, ৩১ জুলাই, ২০২২, ৬:৫৮ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় এই দেশের জনগণের ভোটের অধিকারে বিশ্বাসী । সে জন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যতটা উন্নতি হয়েছে, সেটা আমাদের আমলেই হয়েছে।

দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা গতকাল (শনিবার ৩১ জুলাই) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের যৌথসভায় তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। 

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য দুই–তৃতীয়াংশ ক্ষমতা নিয়েই সংবিধান সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়। যাদের এ ধরনের মানসিকতা, তারাই ভোট চুরি করে। জিয়াউর রহমান, এরশাদ তা–ই করে গেছে। আর খালেদা জিয়া তো গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েই ক্ষমতায় এসেছে। ‘আরেকবার জামায়াতের হাত ধরে এল।’

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আদমশুমারিতে দেশের জনসংখ্যা খুব একটা বাড়েনি। তিনি বলেন, ১৬ কোটি ৫০ লাখের বেশি হবে। সামান্য কিছু হয়তো পরবর্তী সময়ে বাড়বে বন্যাকবলিত এলাকা ধরে। তিনি বলেন, ‘কেউ দেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি বলে, ১৭ কোটি বলে, আমাদের কিন্তু এত জনসংখ্যা না। কাজেই এই মানুষগুলোর খাবারের ব্যবস্থা করতে পারব। আওয়ামী লীগ যতক্ষণ ক্ষমতায় আছে, সবই পারব। কিন্তু লুটেরারা এলে কি করবে সেটা জানি না।’

মানুষের সব মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুব বড় আকারে হয়তো করতে পারব না। কিন্তু গরিবানা হালে মানুষের দুমুঠো খাবারের ব্যবস্থা, একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই, সুন্দর থাকা ও লেখাপড়ার ব্যবস্থা—এটুকু তো করতে পারব।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি’। বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না বলে জানান। তিনি বলেছেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।’

তবে যদি বোমাবাজি-ভাঙচুর করে, সেটি করলে বাধা দেব এবং উপযুক্ত জবাব পাবে। এটাই বাস্তবতা। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কোনো বাধা নেই। সেটা তো করেই যাচ্ছে।’

কথা বলার স্বাধীনতা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কথা যত পারুক বলুক। যদিও সারা দিন কথা বলার পর বলে কথা বলতে দেওয়া হয় না। মিটিং করে লোক হয় না, বলে সরকার আমাদের লোক আসতে দেয় না।’

বিএনপির নেতৃত্বে এতিমের অর্থ আত্মসাৎকারী, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি ও অর্থ পাচারকারী রয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশে একটা মানুষও পায়নি তারা নেতা বানাতে? 

দলটির গঠনতন্ত্রের ৭ অনুচ্ছেদে আছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়, তাহলে দলটির নেতা হতে পারবে না। কিন্তু বিএনপি তা–ই করেছে। তারপরও তারা কথা বলছে।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সংস্কার করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যদি নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো শৃঙ্খলা এসে থাকে, সেটা আওয়ামী লীগের হাত ধরে হয়েছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, জ্ঞানী-গুণী যাঁরাই কথা বলেন, তাঁরা কি এটা চিন্তা করেছেন ৩০০ সিটে যদি একটা দল সাড়ে ৭০০ মনোনয়ন দেয়, তাহলে তাদের নির্বাচন কী করে হয়? একজন বিএনপি অফিস থেকে দিচ্ছে, আরেকজন লন্ডন থেকে, আরেকজন গুলশান অফিস থেকে দিচ্ছে। যারা এভাবে নির্বাচন করে, তারা নির্বাচনে জিতবে কী করে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুর্নীতির কারণে বিশ্বব্যাংক বিদ্যুতে বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়। যোগাযোগের অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনেছে। পরপর তিনবার ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশ আজ উন্নয়নশীল।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কার্যালয়ে সভা চলাকালে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান, কামরুল ইসলাম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম, বিপ্লব বড়ুয়া, সেলিম মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন, আমিনুল ইসলাম, সায়েম খান প্রমুখ।


-জ/অ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft