নতুন সমঝোতার আওতায় মালয়েশিয়ায় যেভাবে কর্মী যাবে তার একটা রূপরেখা প্রকাশ করেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি। সেখানে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ১৩টি ধাপ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। নতুন সমঝোতার আওতায় মালয়েশিয়ায় যেভাবে কর্মী যাবে তার একটা রূপরেখা প্রকাশ করেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি। সেখানে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার ক্ষেত্রে ১৩টি ধাপ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
বিএমইটি কর্তৃক প্রকাশিত রূপরেখায় বলা হয়-বিএমইটি কর্তৃক প্রকাশিত রূপরেখায় বলা হয়-প্রথম ধাপে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে বিএমইটি ডেটাবেজে রিক্রুটিং এজেন্সির নিবন্ধিত হতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নিয়োগের অনুমতিপত্র ডাটাবেজে আপলোড করা হবে।
তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি অনলাইনে বিএমইটি’র কাছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা চাইবে। তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি অনলাইনে বিএমইটি’র কাছে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা চাইবে।
চতুর্থ ধাপে বিএমইটি ডাটাবেজ থেকেচতুর্থ ধাপে বিএমইটি ডাটাবেজ থেকে ১:৩ অনুপাতে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা পাঠাবে।
পঞ্চম ধাপে সাত দিনের মধ্যে বিএমইটি’র পাঠানো তালিকা থেকে রিক্রুটিং এজেন্সি চাকরিপ্রার্থী নির্বাচন করবে।
ষষ্ঠ ধাপে প্রয়োজন হলে বিএমইটি’র কাছে পুনরায় তালিকার অনুরোধ করতে পারবে রিক্রুটিং এজেন্সি।
সপ্তম ধাপে রিক্রুটিং এজেন্সি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কলিং ভিসা ও প্রাকবহির্গমণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে।
অষ্টম ধাপে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ভিসা স্ট্যাম্পিং করবে, নবম ধাপে অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মী জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে (ডেমো) বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার দিতে হবে।
দশম ধাপে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সের জন্য সরকারি ফি ও চার্জসহ আবেদন করবে।
একাদশ ধাপে বিএমইটি অনলাইনে ক্লিয়ারেন্স দেবে।
দ্বাদশ ধাপে অনলাইন থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বা স্মার্টকার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে।
ত্রয়োদশ বা শেষ ধাপে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করতে পারবেন কর্মীরা।
এর আগে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের সরকারি খরচের কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের জন্য ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই খরচ শুধু বাংলাদেশ অংশে। গত ১৯ ডিসেম্বর করা মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কর্মীর বেশিরভাগ খরচই নিয়োগকর্তা বহন করবেন। তবে বাংলাদেশে কর্মীর কিছু খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তাই বহন করবেন। এসব খরচের মধ্যে রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় আনয়ন, আবাসন, কর্মে নিয়োগ ও কর্মীর নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এছাড়া নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ইন্স্যুরেন্স, করোনা পরীক্ষা, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা প্রতিষ্ঠান বহন করবেন। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসাও নিশ্চিত করবেন।
-জ/আ