রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা নিয়ে গত ৭ জুলাই থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি এবার লংমার্চে নেমেছেন। একই সঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়। এটি প্রেসক্লাব, টিএসসি হয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে শেষ হবে। এদিন সরেজমিনে দেখা গেছে, হাতে শেকল পেঁচিয়ে, দু’হাতে ব্যানার উঁচু করে ধরে হাঁটছেন রনি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
জানতে চাইলে রনি বলেন, আজকে সকালে কমলাপুর থেকে আমরা লংমার্চ শুরু করেছি। রেলওয়ের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমার লড়াইয়ের অংশ হিসেবে আজকের এ কার্যক্রম। আমরা লংমার্চ শেষে মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেবো।
এদিকে, মহিউদ্দিনের করা অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামীকাল বুধবার ভোক্তা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়েছে। শুনানিতে রেলওয়ের ই-টিকেটিং পার্টনার সহজ.কম, ট্রানজেকশন পার্টনার বিকাশ ও অভিযোগকারী রনিকে ডাকা হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (অভিযোগ) হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমরা অভিযোগকারীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে সহজ.কম, বিকাশ এবং তাকে ডেকেছি। প্রয়োজনে আমরা রেলওয়েকেও তলব করব।
অন্যদিকে, দেশের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে মহিউদ্দিনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দেশীয় গণমাধ্যমের পাশাপাশি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রেলওয়ের সামগ্রিক অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ দফা দাবী নিয়ে গত ৭ জুলাই থেকে একক অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী।
তার ৬ দফা দাবিগুলো হল—সহজ ডটকম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট; টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ; টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ; ট্রেনের সিট সংখ্যা বা ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো; একইসঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন।
-জ/আ