প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৬:৩৮ অপরাহ্ন
সম্প্রতি ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় গবেষক কৃষিকাজে উপকারী নতুন এক ব্যাকটেরিয়া আবিস্কার করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তারা জানায়, তাঁরা এর নাম দিয়েছেন বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবের অধ্যাপক বোম্বা দাম ও তাঁর পাঁচ সহকারী গবেষকের পাঁচ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই আবিষ্কার সামনে এল। তাঁরা এর নাম দিয়েছেন প্যান্টোইয়া টেগরী। রবীন্দ্রনাথের সম্মানেই তাঁরা এই নাম দিয়েছেন বলে জানান অধ্যাপক বোম্বা দাম।
এ নিয়ে অধ্যাপক বুম্বা দাম বলেন, ‘বিষয়টি অ্যাসোসিয়েশন অব মাইক্রোবায়োলজিস্ট অব ইন্ডিয়াতে জানানো হয়েছিল। নভেম্বর মাসের ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মাইক্রোবায়োলজিতে আবিষ্কৃত বিষয়টি প্রকাশিত হয়। আর তারপরেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা নতুন আবিষ্কৃত ব্যাকটেরিয়াকে স্বীকৃতি দিয়েছে।’
কৃষিক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানের কথা মাথায় রেখে ব্যাকটেরিয়ার নাম প্যান্টোইয়া টেগরী দেওয়া হয়েছে বলে জানান বুম্বা দাম। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম কোনো জীবন্ত কিছুর নাম রাখা হলো বিশ্বকবির নামে।
গবেষকদের এই দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবের অধ্যাপক বোম্বা দামের সঙ্গে আরও ছিলেন গবেষক রাজু বিশ্বাস, অরিজিৎ মিশ্র, সন্দ্বীপ ঘোষ, অভিনব চক্রবর্তী ও পুজা মুখার্জী।
কৃষিতে রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহার করতে থাকলে এক সময় সেই জমি উর্বরতা হারাতে থাকে। এ কারণে জৈব সারের দিকে বেশি ঝুঁকছেন কৃষকেরা।
উদ্ভিদের সঠিক বৃদ্ধির জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম অপরিহার্য। এই তিন উপাদানকে সংক্ষেপে এনপিকে বলা হয়। মাটি থেকে এগুলো সহজে পাওয়া যায় না। তবে নতুন এই ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের এনপিকে ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।
মূলত যে মাটিতে উদ্ভিদের উপযোগী ও প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান কম রয়েছে সেসব জমিতে খোঁজ করতে থাকেন গবেষকেরা। তখনই তাঁরা ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া কয়লাখনি এলাকায় নতুন প্রজাতির এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান । এরপর সেই ব্যাকটেরিয়ার ফেনোটাইপিক ও জেনোটাইপিক বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করে জানতে পারেন, এই ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের এনপিকে ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।