নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের জন্য রওশনারা আক্তার রুমা নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী সেলিম মালিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা আব্দুল রউফ বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত শুক্রবার(৬ মে) উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-গড়িলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
গৃহবধূর বাবা আব্দুল রউফ জানান, ১০ বছর আগে উপজেলার বৃ-গড়িলা এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে সেলিম মালিকের সঙ্গে আব্দুর রউফের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই যৌতুকের জন্য মেয়ে রুমাকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
পরে মেয়ের সুখের কথা ভেবে যৌতুক হিসাবে ৪ লাখ টাকা এবং আসবাবপত্র দেন। কিন্তু তারপরও আরও যৌতুকের টাকা জন্য চাপ সৃষ্টি করে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। টাকা দিতে অসস্বীকার করলে মেয়ে রুমাকে মারধর করে। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক বার শালিশ হলেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সব নির্যাতন সহ্য করে সংসার করে আসছিল ওই গৃহবধূ। পরে গত শুক্রবার যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে স্বামী সেলিম মালিক। সেই টাকা দিতে অস্বিকার করায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন গৃহবধূকে মারপিট করে।
এসময় গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে গৃহবধূ রুমা চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে গৃহবধূর স্বামী সেলিম মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আব্দুল মতিন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
« পূর্ববর্তী সংবাদ | পরবর্তী সংবাদ » |