প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪:৩৯ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুনে এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। খবর বিবিসির।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও জোরালো বাতাসের বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে, ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দাবানলের পরিস্থিতি সঙ্কটজনক, এমন ইঙ্গিতবাহী ‘রেড ফ্ল্যাগ’ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লস অ্যাঞ্জেলেসের এ দাবানলকে ‘যুদ্ধের মতো অবস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউজম জানান, পানির ঘাটতির কারণে অগ্নিনির্বাপণ চেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো- নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের দাবানল।
লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন বাস বলেন, অগ্নিনির্বাপণের জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। মঙ্গলবার শুরু হওয়া দাবানলে দেড়শ বিলয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। দাবানল ৩৭ হাজার একরের বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসে কমপক্ষে ৬টি এলাকা আগুনে জ্বলছে। সবচেয়ে বড় দ্য প্যালিসেডস ফায়ার শহরের উত্তর-পশ্চিমের প্রায় ৮৬ বর্গকিলোমিটার (৩৩ বর্গমাইল) এলাকা গ্রাস করেছে দাবানল। এখানে দেশটির অনেক ও সেলিব্রিটিদের আবাসস্থল।দ্বিতীয়টি লস অ্যাঞ্জেলেসের পূর্ব উপশহর আলটাডেনার ইটন ফায়ার। এখানে ৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়েছে দাবানল। অন্য তিনটি ছোট আকারের দাবানল।
ক্যালিফোর্নিয়া ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, শুক্রবারের আগ পর্যন্ত বড় দুই দাবানল প্যালিসেইডস ও ইটনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার মাত্রা ছিল শূন্য শতাংশ। অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আকাশ ও মাটি থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানোর পরও কয়েক দিন ধরে দাবানল ছিল নিয়ন্ত্রণহীন। অবশেষে প্যালিসেইডসের আগুন ৮ শতাংশ এবং ইটনের আগুন তিন শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
গত পাঁচদিন ধরে দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলস। শহরের পশ্চিম ও পূর্ব অংশে সব মিলিয়ে পাঁচটি দাবানল সক্রিয় দেখা গেছে। এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দাবানলের তকমা পেয়েছে এটি; ছড়িয়ে পড়েছে ৩৪ হাজার একরের বেশি এলাকায়। ৫৩ বর্গমাইল এলাকার বসতি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দাবানলের আগুন নেভাতে এখনো লড়াই করছেন অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা। ভয়াবহ এ দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেস মাইলের পর মাইল এলাকায় গাছপালা, বসতবাড়িসহ যাবতীয় পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। ১০ হাজারের বেশি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।