ইসরায়েলের দাবি ভুল প্রমাণ করে নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচন করল ইরান। যেখানে থরে থরে সাজানো রয়েছে উন্নতমানের ক্ষেপণাস্ত্র। ভবিষ্যতে এমন আরও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সুবিধা উন্মোচন করা হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
গত ২৬ অক্টোবর ইরানের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছিল তারা দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সক্ষমতা ধ্বংস করেছে। সেই দাবি এখন মিথ্যা প্রমাণ হলো।
ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানায়, ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী তথা আইআরজিসির কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেন সালামি এবং আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ নতুন এই ভূগর্ভস্থ শহর উন্মোচন করেন। শুক্রবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি এ সংক্রান্ত ফুটেজ সম্প্রচার করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্র শহরে তরল জ্বালানি চালিত এমাদ, কদর এবং কিয়াম ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। অবশ্য মিসাইল শহরের কিছু অংশ সাংবাদিকদের দেখানো হয়। প্রায় ৯০ শতাংশ সাংবাদিকদের দেখানো হয়নি।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে শত্রুর ভুল ধারণা প্রত্যাখ্যান করে কমান্ডার হোসেন সালামি বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি বৃদ্ধির হার বেড়েছে।
তিনি বলেন, ইরান ক্রমাগত তার ক্ষেপণাস্ত্রের পরিমাণ, গুণমান এবং নকশার দিক থেকে উন্নতি করছে।
‘আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্স অদূর ভবিষ্যতে আরও নতুন ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র সুবিধা উন্মোচন করবে’—যোগ করেন হোসেন সালামি।
এর আগে মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি শুক্রবার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় আবাদান শহরে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া এক বক্তৃতায় বলেন, আপনারা ইরানের লুকানো শক্তির মহিমা ও এর গভীরতার সাক্ষী হবেন। তিনি বলেন, শিগগিরি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র শহর ও ড্রোন উন্মোচন করা হবে এবং আপনারা ইরানের লুকানো শক্তির মহিমা ও এর গভীরতার সাক্ষী হবেন। এরপরই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দেখাল ইরান।
আইআরজিসির প্রধান কমান্ডার আরও বলেন, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান কোনোভাবেই পর্যাপ্ত সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়নি। ইরান এত উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র, জাহাজ, ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করেছে যে, কখনো কখনো এসব সরঞ্জাম সংরক্ষণের ক্ষমতা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়।
হোসেইন সালামি বলেন, ইরান হচ্ছে একমাত্র দেশ যে কিনা শত্রুর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালালে তার জাতীয় মুদ্রা শক্তিশালী হয় এবং দেশের জনগণ মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে সেই সামরিক অভিযানের আনন্দ উদযাপন করে।
আইআরজিসির কমান্ডার ঘোষণা করনে, সারা বিশ্বের জানা উচিত যে, আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের নিজস্ব সীমান্তের মধ্যে যা আছে তার ওপর নির্ভর করতে পারে। আমরা যে সংকল্প, সিদ্ধান্ত, ক্ষমতা এবং পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করি তা সম্পূর্ণরূপে ইরানের অভ্যন্তরীণ শক্তি।