প্রকাশ: রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৫৪ অপরাহ্ন

ভারতের নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে ভয়াবহ ভিড়ের মধ্যে পড়ে তিন শিশু ও ১৪ নারীসহ অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু যাত্রী।
বার্তা সংস্থা দ্য ওয়াল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতকাল শনিবার রাত ১১টা নাগাদ শুরু হওয়া ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় প্রথমে চার নারী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হলেও পরে আরও বহু মানুষের হতাহতের খবর আসে।
প্রাথমিকভাবে ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও, পরে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ঘটনার পর রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে মহাকুম্ভগামী বিপুল সংখ্যক যাত্রীর চাপ সামলাতে আগেভাগে কেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, কীভাবে পরিস্থিতি এতটা জটিল হয়ে উঠল- সে বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
এদিকে, রেলের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ ট্রেনের মাধ্যমে আহতদের দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কুম্ভমেলায় যাওয়া বহু পুণ্যার্থী অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেনের দেরি ও বাতিলের গুজবে যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। দমবন্ধ পরিবেশে বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে পদদলিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, 'নয়াদিল্লি স্টেশনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় শোকাহত। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।'
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরও শোক প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রেল পুলিশের ডিসি এএনআইকে জানিয়েছেন, প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল, অন্যদিকে স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস ও ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেসের দেরির কারণে ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিপুল যাত্রী ভিড় করেছিলেন। প্রায় ১ হাজার ৫০০ জেনারেল টিকিট বিক্রি হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।