প্রকাশ: সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৩৫ অপরাহ্ন
এবছর গোপালগঞ্জে অসময়ে তরমুজ চাষ করে ভালো লাভবান হয়েছেন চাষীরা। সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বিধান বিশ্বাস, রাজীব বালা প্রমুখ জানান কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা ও পরামর্শে অসময়ে বেঙ্গল টাইগার, ব্ল্যাক সুইট, সোনিয়া জাতের তরমুজ চাষ করে তারা বেশ ভালো সফলতা পেয়েছেন। লাভও হয়েছে আশানুরূপ।
রঘুনাথপুর গ্রামের চাষী বিধান বিশ্বাস বলেন, আমার ঘেরপাড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ জমিতে আমি বেঙ্গল টাইগার জাতের তরমুজ চাষ করে বেশ ভালো আয় করেছি। এসময় তরমুজের দাম বেশি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০/৬০ টাকা দরে। রাজীব বালা নামে অপর একজন কৃষক বলেন,আবহাওয়া ভালো থাকায় আমার ১০ শতাংশ জমি থেকে প্রায় ৩০ মন তরমুজ ঘরে তুলতে পেরেছি। প্রায় ৬৬ হাজার টাকা আমার অসময়ে তরমুজ চাষ করে আয় হয়েছে।
রঘুনাথপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ হালদার বলেন,কয়েক বছর আগে স্থানীয় একজন কৃষক অসময়ে তরমুজ চাষ শুরু করেন। তার সফলতা প্রাপ্তির খবর পেয়ে আরও কয়েকজন চাষী অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে হঠে। বর্তমানে ৩০ জন জমি বা ঘের মালিক অসময়ে তরমুজ চাষ করেন। আর এতে কমপক্ষে ২৫০ জন কৃষকের কর্মসংস্থান হয়। ভালো লাভ পাওয়ায় আরও অনেকে অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহী হবে বলে আশা করি। প্রতি শতাংশে অসময়ের তরমুজ চাষে ব্যায় হয় প্রায় ১৮০০ টাকা। আর আয় হয় ৬৫০০ টাকা। এতেই বোঝা যায় চাষীদের অসময়ে তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠার কারন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিশিষ্ট কৃষিবিদ মাফরোজা আক্তার জানান, সদর উপজেলায় লাভজনক হওয়ায় ধীরে ধীরে অনেক চাষী আগ্রহ প্রকাশ করেছে অসময়ে তরমুজ চাষ করতে। অসময়ে তরমুজ চাষ করে চাষীরা বাড়তি আয় করে আর্থিক সাফল্য পেয়ে নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে পারে। এখন সদর উপজেলায় ৫ একর জমিতে বা ঘেরপাড়ে অসময়ের তরমুজ চাষ হয়।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, অসময়ের হলেও এসব তরমুজের ভেতরাংশ লাল এবং মিষ্টি। সুস্বাদু হওয়ায় তরমুজ বিক্রি হয় প্রচুর। কৃষি কর্মকর্তারা অসময়ে তরমুজ চাষে সার্বিক সহায়তা করে থাকেন চাষীদের । জেলায় অসময়ে তরমুজ চাষ হয় প্রায় সাড়ে ১২ হেক্টর জমিতে। যা থেকে উৎপাদন হয় প্রায় ৯১০০ টন তরমুজ। বাড়তি আয় করে আর্থিক সাফল্য পেতে অসময়ের তরমুজ চাষ করতে পারে চাষীরা। এতে চাষীরা যেমন বাড়তি আয় করতে পারবে তেমনি দেশও লাভবান হবে।