প্রকাশ: বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:০৮ অপরাহ্ন
যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় শওকত আলী (৩২) নামের বিএনপির কর্মী খুন হয়েছেন। এ সময় হামলায় আহত হয়েছে আরো তিনজন।
আজ বুধবার উপজেলার সুকপুকুরিয়া ইউনিয়নের পুড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শওকত আলী পুড়াপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ও সুকপুকুরিয়া ইউনিয়ন শাখার বিএনপির কর্মী। এ ঘটনায় নিহতের চাচা মিজানুর রহমান চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
আহতরা হলেন- একই গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী কিয়াম উদ্দীনের ছেলে শনু মিয়া (৩৫), তার ভাই ইউসুফ আলী (৩০) ও মরহুম ওসমান আলীর ছেলে মুখতার হোসেন (৪০)।
স্থানীয়রা আহত শওকত আলীকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় চৌগাছা সরকারি হাসপাতলে নেন। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইদুর রহমান ইমন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোরে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করনে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা রেফার করেন। ঢাকায় চিকিৎসতরত অবস্থায় শওকত আলীর মৃত্যু হয়।
মামলার নথি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, পুড়াপাড়া মোল্লাপাড়ার মিজানুর রহমানের বাড়ির পাস দিয়ে একটি ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছিল। রাস্তাটি দেখভাল করছিল স্থানীয় ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন। রাস্তায় ইটের গাঁথুনির নিচে বালুর পরিমাণ কম দেয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান। এতে বাকবিতাণ্ডা হয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের সাথে। পরে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য কামাল হোসেনের নেতৃত্বে কিয়াম উদ্দীনের ছেলে সন্ত্রাসী শনু মিয়া, ইউসুফ আলী, সোহারব হোসেন, আইজেল উদ্দীনসহ ১০-১২ জন মিজানুর রহমান ও তার লোকজনের ওপর বাঁশের লাঠি, লোহার রড, গাছি গা ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। তারা নজরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি মারপিট করতে থাকে। ভাতিজা বিএনপির কর্মী শওকত আলী বাধা দিলে তাকেও লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে বাড়ির লোকজন প্রতিহত করতে গেলে উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়। এ ঘটানায় শওকত আলীর চাচা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান সাতজনরে নাম উল্লেখ করে চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় দোষীদের আটকের চেষ্টা চলছে।