প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
বকেয়া মজুরির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন রাষ্ট্রমালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চা শ্রমিকেরা। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দেশের এনটিসির ১৬টি চাবাগানের শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা চা বাগানের প্রধান ফটকের সম্মুখে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এসময় বুধবারের মধ্যে পাওনা বকেয়া পরিশোধ না করলে আরও কঠোর অবস্থানের হুশিয়ারি দেয় চা শ্রমিকরা।
মানববন্ধনে অংশে নেওয়া চা শ্রমিকরা বলেন, ‘তাদের ছয় সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে। মজুরি না পেয়ে তারা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তাঁরা কাজে ফিরবে না। প‚জার আগে বলল মজুরি দিয়ে দিবে। কিন্তু আমাদের মজুরি দেয়া হল না। টাকা না পেলে আমাদের সংসার চলবে কিভাবে, না খেয়ে মরতে হবে।’
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালি কমিটির সভাপতি ধনা বাউরি বলেন, ‘শ্রমিকদের পাঁচ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে। আমাদের শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই। তাঁরা অনেক কষ্ট করে চলছেন। এখন পেটে খিদা নিয়ে শ্রমিকেরা কাজ করবেন কীভাবে? মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তাঁরা কাজে ফিরবেন না।
তিনি আরো বলেন, সারা দেশে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৬টি চাবাগান আছে। এসব বাগানে প্রায় ১৭ হাজার চাশ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের ওপর আরও ৩০ হাজার মানুষের ভরণপোষণ নির্ভর করে।’
কমলগঞ্জ পাত্রখোলা চা বাগানের যুব নেতা প্রদীপ পাল বলেন, ‘আমাদের চা শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই। তাঁরা অনেক কষ্ট করে চলছেন। যদি অনতিবিলম্বে বকেয়া মজুরি পরিশোধ না হয়, তবে চা বাগানগুলোতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।’
এনটিসির মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক বলেন,‘শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য তাঁরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণাঙ্গ পুনর্গঠন না হওয়ার কারণে কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছেন, শিগগিরই পরিচালনা পরিষদের পূর্ণাঙ্গ গঠন হবে এবং শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, এখন চাবাগানগুলোতে উৎপাদনের সময়। এখন যদি শ্রমিকেরা কর্মবিরতিতে যান, তাহলে চা–বাগানের অনেক ক্ষতি হবে।’