প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:২২ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মৃত্যুর ৭ বছর ৭ মাস পর হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের ভাই। জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধে তাকে খুন করা হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল মজিদ। তার বাড়ি উপজেলার রাড়ীপাড়া গ্রামে হলেও কালীগঞ্জ শহরের দক্ষিণ আড়পাড়ায় বসবাস করতেন।
চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছোট ভাই মো. আব্দুল আলিম বাদি হয়ে জেলা বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালীগঞ্জ আমলী আদালতে মামমলাটি করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলার রাড়ীপাড়া গ্রামের মোঃ সাজ্জাদ আলী বিশ্বাস ও মোঃ সুমন এবং কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন শিবনগর গ্রামের মিজানুর রহমান।
আদালতের বিচারক রোমানা আফরোজ আগামি ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ঝিনাইদহ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ ও ২নং আসামী কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়ায় তিন তলা বিশিষ্ট পাকা বাড়ি রয়েছে। উক্ত বাড়িতে বাদীর বড় ভাই মৃত আব্দুল মজিদ নিচের ফ্লাটের পশ্চিমের পার্শ্বে ভাড়া নিয়া বসবাস করতেন এবং কালীগঞ্জ বাজাবে ঔষুধের ব্যবসা করতেন। ঘটনার কয়েকদিন আগে বাদীর বড় ভাই আসামীদের নিকট তাদের পাওনা সম্পত্তি দাবী করে। আসামি সাজ্জাদ আলী বিশ্বাস ও মোঃ সুমন জমি বুঝে না দিয়ে ভয় ভীতি ও হমকি দিতে শুরু করে। ঘটনার দিন ৫.০৩.২০১৭ বাদীর বড় ভাই নিহত আব্দুল মজিদ কালীগঞ্জ বাজার থেকে প্রতিদিনের মত কাজ সেরে দুপুরে খাওয়ার জন্য বাসায় আসে। এরপর তার আর খোজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওইদিন সন্ধ্যয় বড় ভাইকে খোঁজ করতে আসামীদের বাড়ি গিয়ে দেখতে পান আব্দুল মাজিদ পশ্চিমের রুমে মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। বাদী এবং সাক্ষীগন আব্দুল মাজিদকে ওলট পালট করে দেখতে পান ঘাড়ে দড়ির দাগ, মুখ চাপিয়া ধরার দাগ এবং দুপায়ের গুড়মুড়ো দড়ি দিয়া বাঁধার দাগ রয়েছে। এসময় তারা আব্দুল মজিদকে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ নিয়া গেলে ডাক্তার মৃত্যু ঘোষনা করে।
পরে মৃত আব্দুল মাজিদকে ময়না তদন্তের জন্য কালীগঞ্জ থানায় সংবাদ দিলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহলের নির্দেশে ময়না তদন্ত না করেই দ্রুত কাফন-দাফন করতে বাধ্য করা হয়।