প্রকাশ: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৪৬ অপরাহ্ন
দেশে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের পরেও অর্থনীতি পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভর করে টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টঙ্গীর পাগাড় এলাকায় জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড কারখানায় সরকারিভাবে পোশাক শ্রমিকদের মাঝে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, দেশে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাটের পরেও অর্থনীতি টিকে আছে পোশাকশিল্পের ওপর নির্ভর করে। দীর্ঘ লড়াই শেষে আমরা দায়িত্বে এসেছি। আমাদের প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। শ্রম অঞ্চলে অসন্তোষের ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত। শ্রম অসন্তোষে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গতকাল থেকে শ্রম অঞ্চলে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হলো উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ধাপে ধাপে দেশের সব শ্রম অঞ্চলে এই কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে ১৮টি যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক প্রাণ দিয়েছেন। তাই শ্রমিকদের সব সময়ই অগ্রাধিকার বেশি।
উপদেষ্টা আরো বলেন, পোশাক শ্রমিকদের পেনশন নেই। আমার একটি স্বপ্ন আছে অন্যান্য পেশাজীবীর মতো পোশাকশ্রমিকদের পেনশনব্যবস্থা চালু করা। এ ব্যাপারে কারখানা মালিকদের শতভাগ সহযোগিতা আশা করছি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামাম, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন ও নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নোমান প্রমুখ।
এ সময় কারখানাটির ১ হাজার শ্রমিকের হাতে টিসিবির পণ্য তুলে দেওয়া হয়। পরে কয়েকটি ধাপে কারখানাটির ১৩ হাজার শ্রমিককে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলোর মধ্যে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি তেল, ২ কেজি ডাল রয়েছে। শ্রমিকদের প্রতি মাসের পাওনা বেতন থেকে টিসিবির পণ্যের মূল্য বাবদ ৪৭০ টাকা কেটে নেওয়া হবে।