প্রকাশ: রোববার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৫৯ অপরাহ্ন
চাঁদপুরের মতলব উত্তর মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে (মেঘনা নদী) গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে নিখোঁজের দুই দিন পর শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ।
নিহত ছাত্রের নাম মো. আবির (১০)। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বাঘবের এলাকার জজ মিয়ার ছেলে এবং ভক্তবাড়ী বাজারস্থ আল আকসা রেসিডেন্সিয়াল মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ছাত্র ছিলেন।
গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার আমিরাবাদ মেঘনা নদীতে নিখোঁজ মো. আবিরের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দেয়। মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বড় কাকা মো. ফজলুর হকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে (মেঘনা নদী) পিকনিকে আসে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ আল আকসা রেসিডেন্সিয়াল মাদ্রাসায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ। সেখনে নদীর পানিতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থী মো. আবির নিখোঁজ হয়। এর দুই দিন পর তার লাশ উদ্ধার করে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছরও নারায়ণগঞ্জ ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী একই স্থানে ডুবে মৃত্যু হয়। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোন সতর্কতা অবলম্বন করেনি। সাঁতার না জানা শিশুদের নামতে দেয়া কোনভাবে ঠিক হচ্ছে না। এখানে এই ধরণের ঘটনা ঘটলে গনমাধ্যমকেও জানানো হয় না।
নিহত মো. আবিরের চাচা ফজলুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার আমার ভাতিজা তার মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাথে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে পিকনিকে আসেন। পাশে মেঘনা নদীর তীরে সমপাঠিদের সাথে আনন্দ উদযাপন করার সময় মেঘনা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে মোহনপুর নৌ পুলিশ, ফাঁয়ার সার্ভিস, ডুবুরিদলকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি করে না পেলে চলে যায়। পরে দুই দিন পরে আমিরাবাদ এলাকার মেঘনা নদীতে আমার ভাতিজার লাশ ভেসে ওঠে। পরে সেখান থেকে আমার ভাতিজার লাশ আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে কোন নিরাপত্তা নাই, নিরাপত্তা ছাড়া তারা কিভাবে একটা পর্যটন কেন্দ্র চালু করে। আমার ভাতিজা নিখোঁজ হওয়ার পর ঐ পর্যটন কেন্দ্রের কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।
এ বিষয়ে মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।