প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
পিরোজপুরের কাউখালীতে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকার প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে। ভিত্তি প্রস্তরের ৭ বছরেও কাজ শুরু না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পাইলিংয়ের জন্য নাম মাত্র কিছু ব্লক ও জিও ব্যাগ ৬ বছর আগে নির্মাণ করে খাদ্য গুদামের সামনে রেখে দেওয়া হয়। ব্লকগুলো এখন শ্যাওলা, আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। কবে নাগাদ পাইলিংয়ের কাজ শুরু হবে, তা কেউ বলতে পারে না।
বর্তমানে সন্ধ্যা নদীর তীব্র ভাঙন থাকায় যে কোনো সময় বিলীন হতে পারে কাউখালীর ঐতিহ্যবাহী খাদ্য গুদামের ৫টি ভবন। কাউখালীর খাদ্য গুদাম এক সময়ে বরিশাল বিভাগের দক্ষিণ অঞ্চলের পিরোজপুর জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় খাদ্য গুদামজাত করার লক্ষে সরকারিভাবে চাল, গম সামগ্রী সরবরাহ করা হতো।
সরকারের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন রাস্তা-ঘাট, বেরিবাধ, খাল খনন, মাটিকাটা শ্রমিকদের কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হতো এখান থেকে।
মূলত গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের এই সকল উদ্যোগেই আজ বাংলাদেশেকে উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু আজ শত কোটি টাকার খাদ্য গুদাম সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা এবং নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা না করার জন্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
খাদ্য গুদামের ভাউন্ডারির ওয়াল, প্রবেশ পথ ও জেটিসহ রাস্তা বহু আগেই নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে গেছে। এখন সীমানা প্রাচীরও ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে মূল খাদ্য গুদামের ভবন। সীমানা প্রাচীর না থাকায় সরকারি বহু মূল্যবান সম্পদ ঝুঁকিতে রয়েছে।
কাউখালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, কাউখালী খাদ্য গুদামটি অরক্ষিত এলাকায়। দ্রুত কাজ না করলে যে কোনো সময় নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
পিরোজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আশা করি পানি কমলে নভেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।