কুমিল্লায় বিগত ৭ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ষরজন্ত্র মুলক হামলার শিকার হয়েছেন মেসার্স মওদুদ ভ্যারাইটিজ কনস্ট্রাকশন এর স্বত্বাধিকারী, সামাজিক-মানবিক ব্যক্তিত্ব ও সংবাদপত্র কর্মী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র। সম্প্রতি চাঁদা না পেয়ে এই ঠিকাদারকে হত্যার উদ্দেশ্য ছুরিকাঘাত করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানায় মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র এবং তার পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি ( জি ডি) করা হয়। যার নাম্বার :৪৫৩,তারিখ:১৩.০৮.২০২৪ ইং।
অত:পর এই চাঁদাবাজ চক্রটি নিজেদেরকে আত্মগোপন করে ফেলে। তারা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-বাহিনী বলে ধারনা করা যায়। সাধারন ডায়েরি ( জি ডি) খবর পেয়ে তারা অন্য সন্রাসীগনদের যাদের ভীতরে দেখা যায় হয় ৩ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা গত ০৩ আগস্ট, ২০২৪ ইং কাজের সাইট (পাস্তুবির ৫নং এলাকাস্থ) থেকে ফেরার পথে আনুমানিক রাত ১২ টায় মেসার্স মওদুদ ভ্যারাইটিজ কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র পথরোধ করে উক্ত চাঁদাবাজরা ও সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি চাঁদা দাবি করে।
তিনি চাঁদা দেওয়া অপারগতা দেখালে তাকে সন্ত্রাসী চক্রটি সম্মিলিতভাবে সিএনজি থেকে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিঠে আঘাতসহ কিল-ঘুষি মারাসহ ধারালো ছুরি বের করে ছুরিকাঘাত করে। এতে ভিক্টিম মওদুদ শুভ্র প্রতিহত করতে গেলে তার ডান হাত দিয়ে ঠেকায় তখনই ছুরির আঘাতে তার বাম হাতে চরমভাবে জখম হয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে কিছু স্থানীয় লোকজন সহজোগিতা করতে এগিয়ে আসলে মানুষের অবস্থান টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা একটি মোটর বাইক ও সন্ত্রাসী চক্রটির সটকে পড়ে এবং দ্রুত গতিতে দুটি মোটর বাইক নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তারা পালিয়ে যায়। তখন আহত অবস্থায় মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্রকে দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে কুমিল্লা সদর (জেনারেল) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ডান হাতের জখমী স্থানে সেলাইসহ অনান্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে আহত ভিক্টিম মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র জানায়, এই সক্রিয় সন্ত্রাসী চক্রটি বিগত ৭ বছর ধরে বিগত ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় আমাকে বিভিন্ন সময়ে ভিভিন্ন ভাবে ক্ষয়-ক্ষতিসহ হত্যার উদ্দেশ্য মিশন চালায়। এর আগের বারও আমাকে বিড়াট বিড়াট ক্ষতি সাধন করে। পরে আমাকে টার্গেট করে আমার সাথে না পারায় তারা বেপরোয়া হয়ে আমার বৃদ্ধ পিতাসহ আমার পরিবারের নিরীহ সদস্যদের পর্যন্ত ক্ষতি করার চেস্টা চালায়। শুধু তাই নয় আমার স্ত্রী কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাস্টার্সে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অধ্যায়নরত ছিলো।তাকে পর্যন্ত হুমকি-ধমকি দেয় এবং কিডন্যাপ করে চাঁদাবাজির চেস্টা চালায়। তখন তার পড়াশোনা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। এই সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতি মুহুর্তে চাঁদাবাজি টাকা আমার যাতায়াতের অবস্থান ফলো করে আমার পিছু পিছু ঘুরাফেরাসহ আমার বাসস্থান এলাকায় পর্যন্ত প্রায় সময়ে তাদের অবস্থান হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায়। আমার কাছে তারা প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি এবং নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে চাঁদা দাবি করতে থাকে।
বিগত ৭ বছর ধরে এই সমস্যার প্রতিকার চেয়ে আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে এখতিয়ার সম্পন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাবরে সকল প্রমান পত্রাদি সাথে লিখিত আবেদনসহ মৌখিকভাবেও অভিযোগ জানাই।
কিন্তু এতে উল্টো প্রতিকার প্রার্থী হিসেবে সন্ত্রাসী চক্রটির ক্ষমতার জোরে প্রতিকার পাই নাই। তাছাড়াও আদালতে মামলা করতে জাওয়ার পথেও তারা আমাকে পথরোধ করে আহত করে। আমি মধ্যবিও ঘরের সন্তান হওয়ায় আমার পেশাগত সকল কাজের পাশাপাশি সাবলম্বী হওয়ার জন্য সাপ্লাই এর ক্ষুদ্র ঠিকাদারি পেশার পাশাপাশিও একজন সংবাদপত্র কর্মী, মানবাধিকার কর্মীসহ চাকুরীরত। আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান "মেসার্স মওদুদ ভ্যারাইটিজ কনস্ট্রাকশন" মুলত আমার ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠানটি ইমারত নির্মাণ কাজে মালামাল সাপ্লাই/ সরবরাহ কারী কাজ সহ ইমারতের (সাইট) দেখাশোনা কাজ করে। এরই সুত্র ধরে বিগত দিন ধরে আমার ওপর অত্যাচারের এই তান্ডব লিলা চালায়।
অতঃপর এই সন্ত্রাসী সক্রিয় চক্রটি বিগত আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন সরকার পতনের পর পরে নিজেদেরকে আত্মগোপন করে ফেলে। এখানেই তারা ক্ষ্যান্ত হয় নাই, বরং তারা তাদের পরিচিত সিন্ডিকেট মহলের লোকজন দ্বারা প্রতি মুহূর্তে আমাকে সর্বদা ফলোসহ আমার পিছনে পিছনে ঘুরাফেরা করে আমার জীবনের জানমালের অপুরনীয় ক্ষতি করার চেস্টা করে আসছে। প্রতি মুহুর্তে আমাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম্বার থেকে কল ও ভয়ংকর এসএমএস পাঠায়। যেটা আমি মোবাইল ফোন নাম্বারসহ আগত মোবাইল নাম্বার থেকে এসএমএসগুলো সংরক্ষণ করে রাখি এই ব্যাপারে আমি পুলিশের কর্মকর্তাগণ ও সেনাবাহিনীকেও অবগত করি।
উনারা আমার উক্ত ঘটনার দু:খ প্রকাশ করে জরুরী ও দ্রুতভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা/মামলা যাওয়ার আইনি পরামর্শ প্রদান করেন। তারপর আমি বাধ্য হয়ে কুমিল্লা জজ কোর্টে উক্ত বিগত দিনের আমার সাথে ঘটে যাওয়া সকল অপরাধ এর ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ ও দালিলিক প্রমান সাথে বিগত দিনের আমার সাথে নাসকতার সকল প্রমান পত্রাদি দিয়ে কুমিল্লা জজ কোর্টে দ্রুত বিচার আইনে আসামীদের বিস্তারিত সংরক্ষিত রেকর্ড সনাক্তকরণসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামী করে চাঁদাবাজি প্রতিকার চেয়ে সাথে আমার ও আমার পরিবার পরিজন দের সার্বিক আইনগত সুরক্ষা, আত্মরক্ষা ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা চেয়ে মামলা দায়ের করি। যাহার বিস্তারিত (দ্রুত বিচার আইনের মামলার নাম্বার: দ্রুত সি আর -৩৬/২০২৪; তারিখ= ১৯.০৮.২০২৪ ইং)।
উক্ত সন্ত্রাসীরা যদিও বর্তমানে আত্মগোপন রয়েছে কিন্তু তাদের অনেক গুন্ডা বাহিনীর লোকজন বর্তমানে কুমিল্লাতে আমার বাসস্থান মহল্লার আশে পাশের এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে।সাম্ভাব্য এই সন্ত্রাসী চক্রের পেশাই হলো চাঁদাবাজি।তাই এই বিষয়ক আমি আমার নিরাপত্তা সহ আমার পরিবারের জান মাল ও প্রানের নিরাপত্তা নিয়ে খুবই বিপদ জনক অবস্থায় ভীতরে অদ্যাবধি আছি। তারা অচেনা লোকজন নারী পুরুষ মারফত প্রতিনিয়ত কল দিয়েই যাচ্ছে এবং পথে ঘাটে উক্ত এই অজ্ঞাতনামা লোকজনরা গুন্ডা বাহিনীর পক্ষ হয়ে আদালতের আমার দায়ের করা মামলাসহ থানার অভিযোগ /জি ডি প্রত্যাহারের জন্য হুমকি ধামকি দিয়েই আসছে।
আমি প্রাননাশের চরম নিরাপত্তা হীনতার ভীতরে আছি। আমি কুমিল্লার স্থানীয় সকল প্রশাসনকে মৌখিক এবং লিখিতভাবে এই বিষয়টি পূর্বেও অবগত করেছি এবং বর্তমানেও জানিয়ে রেখেছি।
মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র এই নাসকতাময় ঘটনার বিষয়ে ব্যাখা দিয়ে মাসিক মানবাধিকার খবর ( জাতীয়) সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব রিয়াজ উদ্দিন বলেন- মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র সমাজে একজন মানবিক ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব। তার ওপর এই ধরনের নাসকতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অতি দ্রুত আসামিদেরকে আইনের আওতায় এনে সু-বিচার কামনা করছি।সমাজের সবাইকে আহবান জানাচ্ছি অপরাধী চক্রটিকে যে বা যাহারা চিনে থাকেন দেখা মাত্র প্রশাসনকে অবগত করে প্রশাসনের সহযোগিতায় গ্রেফতারের ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে অনুরোধ জানাচ্ছি।
মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র এই ঘটনার বিষয়ে হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি পক্ষে এই (মানবাধিকার) প্রতিস্থানের চেয়ারম্যান জনাব এড: সাইদুল শাওন বলেন, মওদুদ শুভ্র সর্বদা মানবিক কাজে মানুষের কল্যাণের জন্য মানবিক মানুষ হিসেবে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মানবিকতার সংস্থায় কাজ করে বহুবার বিভিন্ন মানবিক ও সামাজিক সংস্থা থেকে পুরস্কৃত হন। এই রকম একজন সফল মানবিক সংগঠকের সাথে এই ধরনের ঘৃণিত ও নেক্কারজনক কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানিয়ে অতি দ্রুত আসামীগনদের গ্রেপ্তারের জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সহ যৌথবাহিনীকে অনুরোধ জানাচ্ছি।