প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০৮ অপরাহ্ন
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের (শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর) সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মান্নানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শান্তিগঞ্জ উপজেলার সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের শান্তিগঞ্জ চত্বর এলাকায় স্থানীয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা এমএ মান্নানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। প্রায় ১ ঘণ্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কের উভয় দিকে যানজট হয়ে মানুষের দুর্ভোগ দেখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ কর্মসূচি সমাপ্ত করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এমএ মান্নান একজন সৎ রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি আমাদের ছাত্র আন্দোলনে প্রথম থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি হাওরাঞ্চলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করতে সুনামগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। আমরা এমএ মান্নানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ এই কর্মসূচি পালন করেছি। তাকে স্বসম্মানে মুক্তি না দিলে আগামীতে শিক্ষার্থীরা আরও বড় কর্মসূচি দেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শান্তিগঞ্জ উপজেলার বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান পিপিএমসহ ৫০-৬০ জনের একটি দল।
এদিন সকাল সোয়া দশটায় এমএ মান্নানকে আদালতে হাজির করলে আসামি পক্ষের হয়ে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ও নুর আলম তার জামিন প্রার্থনা করেন। এ ছাড়াও অসুস্থ বিবেচনায় তাকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্যও আবেদন করেন।
আদালত থেকে বের হয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুক আলম বলেন, গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জের ছাত্র-জনতা ও আইনজীবীদের ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং পুলিশের প্রত্যক্ষ মদদে আক্রমণ হয়। এদের নির্দেশদাতা, হুকুমদাতা ছিলেন এমএ মান্নানসহ অন্যরা। টিয়ার শেল ও রাবার বুলেটে শত শত বিএনপি নেতাকর্মী, ছাত্র-জনতা এবং আইনজীবীরা আহত হন।
পরে এমএ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়। তাদের দুজন আইনজীবী এমএ মান্নানের স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় জামিনের ও হসপিটালাজাইড করার আবেদন করেন। আমরা তখন আদালতকে বলেছি এটা দ্রুত বিচার আইনের মামলা। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকও অনুপস্থিত। শুনেছি পুলিশও রিমান্ড চাইবে। সুতরাং সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে সব পক্ষের শুনানি হতে পারে।
এর আগে এদিন সাবেক এম এ মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ফারহান সাদিক এ আদেশ দেন।