ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। রোববারের হামলায় আরও ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর।
এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪১ হাজারে পৌঁছেছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৪৫ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এ নিহতসহ গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ৯৭২ জনে পৌঁছেছে। আহতের সংখ্যা এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৪ হাজার ৭৬১ জন।
গত শুক্রবার গাজা ভূখণ্ডে চলমান পোলিও টিকা কর্মসূচির মধ্যে বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে একদিনে অন্তত ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। যার ফলে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গত ১১ মাসে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
গাজার চলমান অবরোধের ফলে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট চলছে। গাজায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এই বর্বরতা থামাতে মাসের পর মাস ধরে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধাবসান ও শান্তি স্থাপনে যেসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তার প্রায় সবই ব্যর্থ।
একাধিক দফা কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখনও পর্যন্ত সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারেনি।