প্রকাশ: সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৫১ অপরাহ্ন
লেবাননে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েলি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষের মধ্যেই প্রতিশোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরানও। জানা যায়, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে ও শহরে ব্যাপক বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে গত ২৬ অক্টোবর ইরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলি বাহিনী অতর্কিত হামলার জবাবে ইসরায়েলে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির একজন উপদেষ্টা রোববার এই তথ্য জানিয়েছেন। তাসনিম নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আলি লারিজানি বলেছেন, সামরিক কর্মকর্তারা ইসরায়েলে হামলা চালাতে বিভিন্ন কৌশলের পরিকল্পনা করছেন।
ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সির (এনএনএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খিয়াম শহরের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। ২৫ নভেম্বর সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দেইর আল-জাহরানিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ইতোমধ্যে একজন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ইয়ামার আল-শফিকে অন্তত ১৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এনএনএ বলছে, কিয়ামে ইসরায়েলি বাহিনী তুমুল বোমাবর্ষণ চালিয়েছে। ইসরায়েলের স্থল বাহিনী শহরটিতে ট্যাঙ্ক নিয়ে অগ্রসরের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এনএনএর মতে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তীব্রভাবে সংঘর্ষে জড়িত। তারা ইসরায়েলের দুইটি ট্যাংকে হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া শামা ও আল বেয়াদার উপকণ্ঠে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। দেইর মিমাসেও ইসরায়েলি সেনারা সক্রিয় বলে জানিয়েছে এনএনএ। তবে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ওই অঞ্চলে ৪টি রকেট হামলা চালিয়েছে। এর আগে গত রোববার লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আশদ নাভাল ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো হামলা চালিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে ৩৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুঁড়ে হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। সেইসঙ্গে তেল আবিবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
খবরে প্রকাশ, ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ নিতে গত মাস থেকেই হুমকি দিয়ে আসছে ইরান। এরমধ্যে গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরায়েলি নাগরিক রাব্বির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, রাব্বিকে হত্যার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। এর জেরে কড়া হুঁশিয়ার বার্তা দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপরেই লারিজানি ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনার কথা জানালেন। শনিবারের সাক্ষাৎকারে লারিজানি ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানসহ মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করার সময় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের উপর নির্ভর করছিল।
লারিজানি বলেছেন, তারা কেন এমন করছে? এর কারণ হচ্ছে তারা ছায়াযুদ্ধকে বেছে নিয়েছে। এ ছাড়া লারিজানি যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে তারা যেন ইসরায়েলকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করে।