গাজীপুরে নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ বলেছেন, আমি জনগণের পাহারাদার হতে আসছি। পুলিশ জনগণের বন্ধু আমি কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দিয়ে এ কথা আপনাদের বিশ্বাস করাতে চাই।
আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় গাজীপুরে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় গাজীপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত জেলা প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নিয়ে পুলিশের নানা অনিয়ম তুলে ধরে এগুলো বন্ধ করার আহ্বান জানান।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, জেলা পুলিশের যে কোন ভাল কাজে আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।
এসময় বক্তাগণ, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখার জন্য নবনিযুক্ত পুলিশ সুপারের প্রতি অনুরোধ করেন।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, বিগত সময়ে পুলিশকে নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা এবং দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। এসব ভুল-ভ্রান্তি শোধরে পুলিশকে একটি পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করতে চাই। এজন্য তিনি পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, জনবান্ধব পুলিশিং সেবা করতে চান তিনি। মানবিক পুলিশ, মানবতার ফেরিওয়ালা নয়, সঠিকভাবে পুলিশের দায়িত্ব পালনে তার নেতৃত্বে পুলিশ বদ্ধপরিকর। পুলিশের পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে তিনি কাজ করবেন বলে সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেন। এ সময় শৃঙ্খলা রক্ষায় সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যে যেখানে আছি, যদি নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করি, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পুলিশের যা কাজ, তা সঠিকভাবে পালন করার জন্য যাতে পরিবেশ তৈরি হয়, সে ব্যাপারে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নাজমুস সাকিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) গোলাম রব্বানী শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
নবাগত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ২১তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। তার গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়।