নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে শ্যামগঞ্জ কলেজ গেইট রায় সুপারমার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে প্রাথমিকভাবে আনুমানিক ২ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাজারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নৈশপ্রহরী আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাত ৩টার দিকে লতিফের চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো এলাকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
পূর্বধলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর তিনটা ১৫ মিনিটের দিকে দুটি ইউনিট নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে, গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে আরও দুটি ইউনিট যুক্ত হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মানিক সেনেটারী। এর মালিক শরীফ উদ্দিন মানিক জানান, তার দোকানে ১০০টির বেশি সাদমান সুপার মোটর এবং দামি সেনিটারি টিউবওয়েলসহ অন্যান্য সামগ্রী আগুনে পুড়ে গেছে, যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
ইত্যাদি লাইব্রেরীর মালিক অজিত জানান, তার দোকানে থাকা সমস্ত বই, খাতা, ও স্টেশনারি সামগ্রী পুড়ে যাওয়ায় তার প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া মোঃ কামরুল ইলেকট্রনিক, কাঞ্চন মনোহারি, চন্দন শীল, দিলিপ মোদক, নয়ন, লতিফ, রিন্টু, মোস্তফা, প্রবীর, বাচ্চু, আসাদ ও জামালের একটি করে দোকানও এই অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
মার্কেটের মালিক তিলক রায় এবং অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, কিছুদিনের ব্যবধানে এই মার্কেটে দুইবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাকিল আহমেদ আশ্বাস দেন যে, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি সাহায্যেরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।