প্রকাশ: সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৪:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪, ৫:৫০ অপরাহ্ন
মানিকগঞ্জে চলমান এজলাসে আইনজীবীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও আইনজীবীদের মুখের উপর বিচারাধীন মামলার নথি নিক্ষেপের প্রতিবাদে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিচারকের অপসারণ দাবী করেছেন স্থানীয় অর্ধশত সাধারণ আইনজীবীরা।
রোববার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামালের এজলাসে এই ঘটনা ঘটে। এরপর ওই বিচারকের অপসারণ দাবি করে ওই আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেও বিচারকের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসব বিষয়ে মামলার আইনজীবী দেওয়ান মো: মিজানুর রহমান বলেন, মানিকগঞ্জ সদর থানায় ১১(গ)/৩০ ধারার একটি মামলায় দুপুরে জামিন শুনানী শুরু করেন তিনি। এসময় অ্যাড. জামিলুর রশিদ খান, অ্যাড. মেজবাউল হক মেজবা, অ্যাড. রেজাউল করিম রেজা, অ্যাড. মহিউদ্দিন স্বপন, অ্যাড. হুমায়ন কবির, অ্যাড. বজলুর রহমান বজলু, অ্যাড. মাইনুদ্দিন লিটনসহ একাদিক সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই মামলায় জামিন শুনানী করার শুরুতেই বিচারক হুট করে অহেতুক উত্তেজিত হয়ে যায়। এসময় সিনিয়র আইনজীবীরা জামিন শুনানীর চেষ্টা শুরু করলে তিনি ওই সিনিয়র আইনজীবীদের নথি নিক্ষেপ করে বর্তমান সরকার নিয়ে বিরুপ মন্তব্য শুরু করে সিনিয়র আইনজীবীদেরকে অপমানজনক কথা বলা শুরু করেন। পরে আইনজীবীরা তার এজলাস বর্জন করে চলে যায়।
উক্ত মামলায় চারজন নারী ও একজন পুরুষ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন বলে জানান আসামীপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মো: মিজানুর রহমান।
মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মেজবাউল হক মেজবা বলেন, একটি মামলায় জামিন শুনানীকে কেন্দ্র করে সরকার নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে আইনজীবীদেরকে লক্ষ্য করে নথি নিক্ষেপ করেন বিচারক। যাহা আইনসঙ্গত নয়। জামিন দেওয়া না দেওয়া বিচারকের ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আইনজীবীদেরকে জামিন শুনানীর সুযোগ না দিয়ে নথি নিক্ষেপের বিষয়টি বিচারকের নিকট থেকে কাম্য নয়। যে কারণে এই বিচারকের অপসারণ দাবী করেন তিনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফসারুল ইসলাম মনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।