প্রকাশ: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৯:২২ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদপাড়া জামে মসজিদের সামনে বিএনপি নেতা এমডি মুকুল হোসেন ওরফে বেনজির আহমেদ ও এমডি শিমুল হোসেন ওরফে মনজুর আহমেদ এবং তাদের পিতা হারুন মোল্লা সরকারি জায়গার উপর অবৈধভাবে টিনের বেড়া ও চাল দিয়ে কমপক্ষে দশটি টং ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ আদায় করছে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, এমডি মুকুল হোসেন ওরফে বেনজির আহমেদ গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ৭ নং ওয়ার্ড ( বর্তমান ১১ নং ওয়ার্ডভুক্ত এলাকা) বিএনপি সভাপতি হিসাবে দীর্ঘকাল দায়িত্ব পালন করছেন।
তার প্রতিবেশি এবং ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মো: আজগার মোল্লা বলেন, মুকুল এবং তার ভাই ও পিতার ওই স্থানে মার্কেট নির্মানের কোন বৈধতা নেই। তবুও তারা দীর্ঘদিন ধরে মার্কেট ভাড়া দিয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ আদায় করছে। সরকারকে ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে মার্কেট তোলায় সর্বত্র সমালোচনা চলছে।
প্রতিবেশী অনেকেই জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে কাঁচা টং ঘরের মার্কেটটি অগ্নিকান্ডে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ওই সময় প্রতিবেশি বাড়ী ও দোকানগুলির মালিকরা আতংকিত হয়ে পড়ে। তারপরেও আবার ওই বিএনপি নেতা মুকুল এবং তার ভাই শিমুল ও পিতা হারুন মোল্লা কাঁচা মার্কেট বানিয়ে ভাড়া দিচ্ছেন। এতে এলাকাবাসী ফের আতংকিত হয়ে পড়েছে। ওই বিএনপি নেতার খুটির জোর কোথায় তা সবাই জানতে চায়।
কেউ কেউ বলেন, পৌর ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা টুপাইস খেয়ে বিএনপি নেতাকে সুবিধা করে দিয়েছে মার্কেট নির্মানের ব্যাপারে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিস বাবলী শবনমের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি।
তার কার্যালয়ে গিয়ে জানা গেছে, তিনি অসুস্থ বিধায় অফিস করতে পারছেনা। পরে পৌর ভুমি কর্মকর্তা মো: সাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।