প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪, ৫:১১ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন চাষে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। রোপা আমন চাষাবাদের ভরা মৌসুমেও কৃষকেরা ধানের চারা রোপণ করতে না পারায় অনেক চাষী সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি নিয়ে চারা লাগানোর কাজ করছে।
এদিকে প্রখর রোদে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চাষকৃত জমিতে লাগানো চারা পানির অভাবে আবারও শুকিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১১ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে আমন রোপনে লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এই মোতাবেক কৃষকরা চাহিদা মাপিক বীজতলা তৈরি করে চারা বড় করেছেন। অন্যান্য বছর এই এলাকায় কৃষরা শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির পানিতে পুরোদমে আমন রোপন করে থাকেন। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপন করতে পারছে না। শুধু নিচু জমিতে জমে থাকা পানিতে অল্প পরিসরে কিছু চারা রোপন করা হয়েছে। অনেকে রাস্তার ধারের খাল থেকে সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে জমি রোপন করছে। আবার অনেকে গভীর নলকূপের পানি নিয়ে জমি রোপন করা শুরু করেছে।
কৃষকেরা বলছেন, বছরের এই সময় সাধারণত মধ্য আষাঢ় থেকে শুরু করে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত আমন ধানের চারা জমিতে রোপণ করা হয়। কিন্তু এবার তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় তাঁরা আমন চাষাবাদ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। মূলত বর্ষাকালে বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে কৃষকেরা রোপা আমন চাষ করে থাকেন। সাধারণত বীজতলায় তৈরি হওয়া চারা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে জমিতে লাগানো হয়।
আমন চাষী মজনু মিয়া জানান, এই এলাকা নিচু জমিতে কৃষকরা আমন রোপন করতে পারলেও এখন পানির অভাবে উচু ও মধ্যম শ্রেনীর জমিতে চারা রোপন করতে পারছে না। ফলে খরচের হার বেড়ে গেলেও অবস্থার বেগতিক দেখে রাস্তার ধারে জমে থাকা পানি ও গভীর নলকূপের পানির উপরই নির্ভর করতে হচ্চে আমন চাষীদের।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবীদ রফিকুজ্জামান জানান, এ পর্যন্ত ঘোড়াঘাট উপজেলায় ৫০ ভাগ জমিতে আমন চারা রোপন করা হয়েছে। পানির অভাবে বাকি জমিতে আমন রোপনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি জানান, সেচ যন্ত্র চালু করে জমিতে পানি সেচ দেওয়ার জন্য বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সেচ পাম্প মালিকদের তাগাদা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখনই আমন চারা রোপনের উপযুক্ত সময়। জমিতে পানি না থাকলে সম্পূরক সেচ দিয়ে চারা লাগানোই উত্তম। বৃষ্টির অপেক্ষায় থেকে চারার বয়স বেশি হয়ে গেলে ফলন বিপর্যয় ঘটার আশঙ্খা রয়েছে। তবে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলায় জমি রোপনের হার মোটামোটি বেশি।