প্রকাশ: বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪, ৫:০৭ অপরাহ্ন
বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁঞ্চাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের প্রবাহমান মোল্লার খালের ওপর দিয়ে বাড়ি ও পানের বরজ নির্মাণ করায় বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ওই বিলে প্রায় হাজার একর জমি আছে। প্রতিবছর ক্ষতি হচ্ছে কোটি টাকার। প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে বিলটি জলাবদ্ধ। দীর্ঘদিনের চাষাবাদের জমি জলাবদ্ধ থাকায় এখন কৃষকেরা দিনমজুরের পেশাকেই স্থায়ীভাবে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
তোতা মিয়া (৪০) আবুল চৌকিদার (৬০) ফারুক চৌকিদার (৫৫) ককন তালুকদার (ইউপি সদস্য) সহ প্রায় ৪০ জন কৃষক ও কয়েকজন দিনমজুর বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বিলে অন্তত ২-২৫শ কৃষকের জমি আছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই এই বিল ছাড়া অন্য কোথাও জমি নেই। জলাবদ্ধতার কারণে তাঁরা এসব জমিতে এখন চাষাবাদ করতে পারেন না। ফলে সংসার চালাতে তাঁরা দিনমজুরির কাজ বেছে নিয়েছেন। তাঁদের সংখ্যা অন্তত কয়েকশ। জলাবদ্ধতার কারণে ৩-৫ বার বিজ ধান ফেলতে হয়। যার ব্যায়বহুল কৃষকেরা সামলাতে পারে না। আবার কৃষিকাজ অনেকের রক্তে-মাংসে মিসে যাওয়ায় ক্ষণের বোঝা বইছে। স্থানীয় কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুর বাসিন্দাসহ হাজারো মানুষের প্রানের দাবি মোল্লার খাল ক্ষননের পাশাপাশি ২ নং ওয়ার্ডে (ওয়াপদার ওপর) একটি বড় কালভার্ট নির্মাণ করা।
পঞ্চাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে প্রতিবছর কৃষকেরা ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। ওখানে এটকা অনব্যানডের স্লুইসগেট দরকার। যাহাতে এই জলাবদ্ধতা দূর হয়।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বলেন, বিষয়টি আমার জানাছিলোনা। খোঁজ খবর নিয়ে দেখব যাহাতে কৃষকের শ্রম বিনষ্ট না হয়।
বরগুনা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি) উপ-পরিচালক ড.আবু সৈয়দ মোঃ জোবায়দুল আলম বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করব যাহাতে কৃষকেরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পায় এবং কৃষকি কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারে।