প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪, ৬:০৬ অপরাহ্ন
নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে ছিনিয়ে নেয়া ৯ জঙ্গির মধ্যে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বরুয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এনিয়ে ছিনিয়ে নেয়া ৯ জঙ্গির মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তারকৃত চার জঙ্গি হলেন- নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার কাজিরচর গ্রামের মো. আবুল ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া। তাদেরকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, দুই নারী জঙ্গিকে ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এবং একজনকে নারায়ণঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আজ শুক্রবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান।
পুলিশ সুপার জানান, নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের মধ্যে ৪৮১ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। এছাড়া পলাতক ৯ জঙ্গি সদস্যের মধ্যে চার জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শটগানসহ এ পর্যন্ত ৪৫টি অস্ত্র ও সাত হাজার গুলির মধ্যে এক হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পৃথক ১১টি মামলায় ১৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নরসিংদীর সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, নরসিংদীতে যেসব স্থানে নাশকতা চালানো হয়েছে বেশির ভাগই সরকারি স্থাপনা। এসব হামলা কোনো ব্যক্তিদের ওপর নয়। শুধু রাষ্ট্রের ক্ষতি করার জন্যই এসব পরিকল্পিত হামলা। এসব হামলায় জেলা পুলিশের চারজন গুরুতর আহতসহ মোট ৩৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া নরসিংদী পৃথক স্থানে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১টি মামলায় ১৮৪ জন নাশকতাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া র্যাব-১১ এর একটি দল বুধবার (২৪ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁওয়ে অভিযান চালিয়ে মো. ফারুক আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। ফারুক নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার নুরালাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। ঢাকা থেকে জঙ্গি খাদিজা পারভিন ওরফে মেঘলা ও ইসরাত জাহান ওরফে মৌসুমীকে গ্রেপ্তার করে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। এরমধ্যে মেঘলা শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী বেলতৈল গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং মৌসুমী পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার বিলবিলাস গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে।