মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় লেকে ডুবে নিখোঁজ সেই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে দ্বীপ্ত দে নামের ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দীপ্ত মাদারীপুর সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। সে পরিবারের সঙ্গে পৌর শহরে থাকতো। বাবার নাম স্বপন দে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পৌর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকায় থেমে থেমে দুই ঘণ্টাব্যাপী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এদিন সকাল ১০টার দিকে শহরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পৌর শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকা দিয়ে পুরাতন কোর্টের দিকে এগোতে থাকে। পরে সদর থানা পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগ একত্রিত হয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেয়। একই সময় আন্দোলনকারীরাও ধাওয়া দিলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হয়।
এদিকে, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে চার শিক্ষার্থী শকুনী লেকে লাফ দেয়। পরে তিনজন সাঁতরে পাড়ে উঠলেও নিহত দীপ্ত দে নিখোঁজ ছিল। সবশেষ দুপুরের দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষের ঘটনায় মাদারীপুর-শরীয়তপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বিচ্ছিন্নভাবে ৮ জনকে আটক করেছে।
সার্বিক বিষয়ে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, ‘আমরা দেড় ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। বিভিন্ন ইউনিটে এখন পর্যন্ত ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে, তবে নির্দিষ্ট করে এখনো বলা যাচ্ছে না। কয়েকজনকে জানমালে বিশৃঙ্খলা করায় আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।’