প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ১:৪৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ১:৪৭ অপরাহ্ন
প্রতিদিন একই রকম কাজ, ব্যস্ততায় মাঝে মধ্যে হাঁপিয়ে উঠতে হয়। কোনো কিছুই ভালো লাগে না। কখনও কখনও নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়। অনেকের মধ্যে থেকেও মনে হয় পাশে কেউ নেই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ইচ্ছে করে না। আত্মীয়-পরিজনকে এড়িয়ে চলতে ইচ্ছে হয়। কারও সাথে কথা বলার ইচ্ছা থাকে না। মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্লান্তি, অবসাদ আর হতাশা যখন মন জুড়ে থাকে, তখন তার থেকেই বিচ্ছিন্নতাবোধ জন্মায়। মন বিষণ্ণ হয়ে থাকে। কোনও কিছুতেই উৎসাহ তাকে না।
এ ধরনের বিষন্নতা কমাতে যা করবেন-
১. যখনই মন বিষণ্ণ হয়ে উঠবে, তখন সব কাজ ছেড়ে কিছু ক্ষণের জন্য ধ্যান,মেডিটেশনে বসুন। যদি ১৫ মিনিটও মন শান্ত রেখে, চুপ করে ধ্যান করা যায়, তা হলে অনেকটা মানসিক আরাম পাওয়া সম্ভব। চিন্তার জটও অনেকটা খুলে যায়।
২. সকাল সকাল যোগাসন, প্রাণায়াম করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। নিয়ম করে যোগাসন করলে মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলি সক্রিয় থাকে। এর ফলে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা মনে আসে না। ‘হ্যাপি হরমোন’-এর ক্ষরণ হয়। এতে মন ভাল থাকে। তবে যোগাসন শরীরের অবস্থা, রোগব্যাধি বুঝেই করতে হয়। তাই কী ধরনের যোগাসন আপনার জন্য সঠিক, সেটা যোগাসন প্রশিক্ষক বা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।
৩. দিনে কিছুটা সময় বের করেও বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের সঙ্গে গল্প করতে হবে। পুরনো বন্ধুদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করুন। পুরনো দিনের সুখের স্মৃতিগুলো মনে করুন। ছবির অ্যালবামগুলো উল্টে দেখুন। নিজেকে গুটিয়ে ফেললে হতাশা আরও বেশি গ্রাস করে।
৪. যারা বেশি দুশ্চিন্তা, উদ্বেগে ভোগেন, তাদের ঘুম কম হয়। বারে বারে জেগে ওঠেন। ঘুমাতে গেলে শরীরে অস্বস্তি বোধ হয়। এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করতে হবে। সম্ভব হলে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান। শোয়ার ঘর পরিপাটি, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ঘুমানোর সময়ে মোবাইল, ল্যাপটপ ইত্যাদি যাবতীয় বৈদ্যুতিক যন্ত্র দূরে রাখুন।
৫. মন ভালো করার অন্যতম ভাল উপায় হচ্ছে বই। কোনও কাজে উৎসাহ না পেলে পছন্দের বই পড়ুন। এতে ধৈর্য বাড়বে, দুশ্চিন্তাও দূর হবে।
৬. কিছু দিনের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। যদি কেউ সঙ্গে না থাকে, তাহলে একাই যান। খুব বেশি দূরে যেতে না পারলে কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যান। সেখানকার ভাল ভাল ছবি তুলুন। স্থানীয় কোনও খাবার খান।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু দিনের জন্য সব কাজ থেকে বিরতি নিলে মন ও মস্তিষ্কও বিশ্রাম পায়। তাতে মনের বিষণ্ণতা অনেক কেটে যায়।