প্রকাশ: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪, ৩:২৩ অপরাহ্ন
জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ৩ জুলাই থেকে। জানা গেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন কার্যক্রম বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উচ্চ হারে ফি বাবদ অর্থ আদায় করছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সরকারি ঘোষনায় উল্লেখ আছে, প্রয়োজনে সামান্য অর্থ আদায় করা যাবে। পরিপত্রের এ নির্দেশনা পেয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা খুশি তাই করছে। কোনো কোনো বিদ্যালয় ৩০০ থেকে ৫৮০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। কাউকে তোয়াক্কা করছে না।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার কাশিয়ানি উপজেলার সাজাইল গোপীমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে৷ ৮০৪ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। এতে ওই বিদ্যালয়ের আয় হয়েছে ২৪১২০০ টাকা। মূল্যান কার্যক্রমে এতো টাকা ব্যয় হবে না।
একই উপজেলার তিলছড়া সৈয়দুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায় নাই। বিদ্যালয়ে গিয়ে সুকান্ত মৌলিক নামে এক শিক্ষককে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং করাতে দেখা গেছে। এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করাসহ ছবি তুলতে গেলে তিনি হঠাৎ বিকারগ্রস্থের মতো চিৎকার চেঁচামিচি শুরু করেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন আমরা কি করি না করি তা দেখার জন্য আমাদের নিজস্ব কর্তৃপক্ষ আছে। আপনারা আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন না। এঘটনায় হতবিহ্বল অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে সরিয়ে নিয়ে যান।
এছাড়াও কোটালিপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ী গ্রামে ওয়েষ্ট কোটালিপাড়া ইনস্টিটিউশন বিদ্যালয়ে ৪০০ টাকা এবং জেলা শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে উচ্চ হারে ফি বাবদ অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী অর্থ দিতে না পেরে বেকায়দায় পড়ে গেছে।