কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনরায় নির্বাচিত হতে ‘শেষ পর্যন্ত’ নির্বাচনি লড়াইয়ে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় বর্ষিয়ান এই ডেমোক্রেট প্রার্থী তার প্রার্থিতার বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন।
গত সপ্তাহে বাইডেনের প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে বিপর্যয়কর ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে নিজের দলের ভেতর থেকেই তার প্রতি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দাবি ওঠে। তবে ৮১ বছর বয়স্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) জোর দিয়ে বলেন, চাপ সত্ত্বেও তিনি নির্বাচনি লড়াইয়ে থাকবেন।
নিজের নির্বাচনি স্টাফদের সঙ্গে এক আলোচনায় জো বাইডেন বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে আমার পক্ষে এটি সম্ভব। সোজা-সাপ্টাভাবে বলতে গেলে, আমি পারব, আমি লড়ছি এবং কেউ আমাকে সরিয়ে দিতে পারবে না।’
বাইডেন আরও বলেন, ‘আমি লড়াই ছেড়ে যাচ্ছি না। আমি নির্বাচনের দৌড়ে শেষ পর্যন্ত আছি এবং আমরা জয়ী হতে যাচ্ছি।’
জো বাইডেনের এই বেপরোয়া মন্তব্য এমন সময়ে এলো যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, তার দল এই বিষয়টি স্বীকার করছে, কয়েকদিনের মধ্যেই তার প্রার্থিতা চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কাজ চালানোর মতো সামর্থ্য রয়েছে এই বিষয়টি জনগণের সামনে প্রমাণ না করতে পারলে তার সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি অবধারিত।
এসব প্রতিবেদনের বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জা-পিয়েরে বাইডেনের পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘পরিষ্কার চোখে বলা যায়, তিনি নির্বাচনের দৌড়ে আছেন।’
গত বৃহস্পতিবারের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে হতাশাজনক ভূমিকা এবং প্রশ্নের পিঠে অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে জো বাইডেনের বয়স এবং শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে ওঠে।
জো বাইডেনের নির্বাচনি দলের লোকজন তার দুর্বল ভূমিকার কথা স্বীকার করে নিলেও প্রেসিডেন্টের অনিদ্রারোগ বা মানসিক বৈকল্যের বিষয়টিকে অস্বীকার করেন। তারা বলেন, সর্দির কারণে বাইডেন এ ধরনের আচরণ করেন।
গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ফ্রান্স ও ইতালিতে টানা ভ্রমণের কারণে তিনি অবসন্ন ছিলেন।