প্রকাশ: বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪, ৮:২০ অপরাহ্ন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে লাগা আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে তেলবাহী ট্রলারে লাগা আগুন এখনো থেমে থেমে জ্বলে উঠছে।
আজ বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েকবার থেমে থেমে আগুন জ্বলে ওঠে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এর আগে দুপুর দেড়টায় মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুড়ে যাওয়া ট্রলার থেকে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরেক শ্রমিককে ঘটনার পরপরই দগ্ধ অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হয়। আরও কয়েকজন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ট্রলারটিতে ৮৬ ড্রাম পেট্রোল ও ৭০ ড্রাম ডিজেল ছিল। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় সব তেলবাহী ড্রাম বিকট আওয়াজে বিস্ফোরিত হয়।
মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন, চার শ্রমিক ট্রলারে করে তেল নিয়ে বরিশাল মনপুরায় যাচ্ছিলেন। পথে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। চার শ্রমিকের মধ্যে একজন নদীর পাড়ে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিকেল ৪টা ১২ মিনিটে ট্রলারটিতে কোনো শ্রমিকের মরদেহ আছে কি না তা খুঁজতে নামার আগে হঠাৎ আবারও আগুন জ্বলে ওঠে। তাৎক্ষণিকভাবে ১৫ মিনিট ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ১০টি ইউনিট দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় ট্রলার থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরেকজন দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুজন নিখোঁজের কথা বলা হলেও কেউ সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তারপরও আমরা সন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রলারটি পেট্রোল ও ডিজেলে পরিপূর্ণ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পরও আবার থেমে থেমে আগুন জ্বলে উঠছে। মনে হচ্ছে পেট্রোল ও ডিজেল পুড়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। তবে আগুন পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি ট্রলারটিতে ডিজেল ও পেট্রোল ছিল। ট্রলারে চার শ্রমিক রান্না করছিলেন বলে শুনেছি। হয়তো সেখান থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’