ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত ভোটে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। বিশেষ করে জালভোট প্রদান, কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নেওয়া, ভোটারদের প্রভাবিত করাসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে কঠোর ছিলো প্রশাসন।
ভোটগ্রহন চলাকালে এ ধরণের বিভিন্ন অভিযোগে মোট ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধে ৭৪ জনের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন সুলতানা এবং সদর, নবীনগর, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলা সদরে ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয় ও ৪২ জনের কাছ থেকে দুই লাখ ১৭ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বিজয়নগর উপজেলায় ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ১৮ জনের কাছ থেকে ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নবীনগর উপজেলায় চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও ১৪ জনের কাছ থেকে ৪২ হাজার টাকা আদায় করা হয়।
এদিকে, নবীনগরের কাঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী জহির উদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে কেন্দ্রে বসে ভাত খাওয়া প্রিসাইডিং অফিসার একেএম রমজান আলীকে প্রত্যাহার করা হয়। বিজয়নগরের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আটক পোলিং এজেন্টকে ছুটাতে এলে তল্লাশি করে দুই লাখ টাকা পাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাহেদ আলীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।